42. কবিতা

【1】

কবিতা সম্পর্কিত

‘আম্‌র ইবনু শারীদ (রহঃ) তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (বাহনে) সফরসঙ্গী হলাম। তিনি বললেন, তোমার স্মৃতিতে (কবি) উমাইয়াহ্‌ ইবনু আবুস্‌ সাল্‌ত-এর কবিতার কোন কিছু আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, পড়ো। আমি তখন তাঁকে একটি লাইন আবৃতি করে শুনালাম। তিনি বললেন, বলতে থাকো, তখন আমি তাঁকে আরও একটি শ্লোক পাঠ করে শুনালাম। তিনি আবার বললেন, বলতে থাকো। শেষ অবধি আমি তাঁকে একশ’টি ছন্দ আবৃত্তি করে শুনালাম। (ই.ফা. ৫৬৮৯, ই.সে. ৫৭২০) শারীদ (রাঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তাঁর (বাহনে) পশ্চাতে সহ-আরোহী বানালেন। ... তারপর তারা পূর্বোল্লিখিত হাদীসের হুবহু উল্লেখ করেন। (ই.ফা. ৫৬৮৯, ই.সে. ৫৭২১) ‘আম্‌র ইবনু শারীদ তাঁর পিতা শারীদ (রাঃ) তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কবিতা আবৃত্তি করে শুনাতে বললেন, তারপর (উপরোক্ত) বর্ণনাকারী ইব্‌রাহীম ইবনু মাইসারাহ্‌ (রহ;) বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর এছাড়াও তিনি বর্ধিত বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘সে তো মুসলিম হয়ে গিয়েছিল প্রায়’। আর (অন্য সানাদের) বর্ণনাকারী ইবনু মাহ্‌দী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে, তিনি বললেন, সে তো তার কবিতায় মুসলিম হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। (ই.ফা. ৫৬৯০, ই.সে. ৫৭২২) আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) তিনি বলেন, আরবদের কবিতামালার মধ্যে সবচেয়ে বেশী কাব্যময় বাণী হচ্ছে লাবীদের এ উক্তি। যেমন- (আরবী) “জেনে রেখ, আল্লাহ ছাড়া যা কিছু রয়েছে সব বাতিল।“ (ই.ফা. ৫৬৯১, ই.সে. ৫৭২৩) আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবির কবিতার মাঝে সর্বাধিক সত্য বাণী লাবীদের কথা- (আরবী) ‘আল্লাহ ব্যতীত যা রয়েছে সব বাতিল।‘ আর উমাইয়াহ্‌ ইবনু আবুস্‌ সাল্‌ত তো প্রায় মুসলিম হয়েই গিয়েছিলেন। (ই.ফা. ৫৬৯২, ই.সে. ৫৭২৪) আবূ হুরাইয়াহ্‌ (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সবচেয়ে বেশী সত্য শ্লোক যা কোন কবি বলেছেন (তা হলো) (আরবী) ‘আল্লাহ ব্যতীত যা কিছু আছে, সব ব্যর্থ ও বাতিল।‘ আর ইবনু আবুস্‌ সাল্‌ত তো প্রায় মুসলিম হয়ে গিয়েছিল। (ই.ফা. ৫৬৯৩, ই.সে. ৫৭২৫) আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) তিনি বলেন, কবিগণ যা বলেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সত্য পংক্তি হলো- (আরবী) “জেনে রেখ, আল্লাহ ছাড়া আর যা কিছু আছে সব বাতিল ও ধ্বংসপ্রাপ্ত”। (ই.ফা. ৫৬৯৪, ই.সে. ৫৭২৬) আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি কোন কবি যা বলে তার মধ্যে অধিকতর সত্য কথা হলো লাবীদ-এর কথা (আরবী) “জেনে রেখ! আল্লাহ ব্যতীত যা কিছু আছে, তা বাতিল।“ এ রাবী এর বেশি বলেননি। (ই.ফা. ৫৬৯৫, ই.সে. ৫৭২৭) আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোকের পেট পুঁজ দিয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়া যা তার পেট পঁচিয়ে বিনষ্ট করে দেয়, তা (পেট) কবিতায় ভর্তি হওয়ার চাইতে উত্তম। বর্ণনাকারী আবূ বাক্‌র (রহঃ) বলেন, তবে (আমার উস্তায বর্ণনাকারী) হাফ্‌স (রহঃ) এর বর্ণনাতে (আরবী) তথা ‘পঁচিয়ে বিনষ্ট করে দেয়’ কথাটি বলেননি। (ই.ফা. ৫৬৯৬, ই.সে. ৫৭২৮) সা’দ (রাঃ) তিনি বলেন, কোন লোকের পেট পুঁজ দিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়া যা তার পেটকে পঁচিয়ে বিনষ্ট করে দেয়, তা কবিতায় ভর্তি হওয়ার চেয়ে উত্তম। (ই.ফা. ৫৬৯৭, ই.সে. ৫৭২৯) আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে ‘আর্‌জ অঞ্চলে ভ্রমণ করছিলাম। সে সময় এক কবি কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আসতে লাগল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শাইতানটাকে ধরে ফেল, অথবা (বর্ণনায় সংশয় তিনি বললেন) শাইতানটাকে বাধা দাও। কোন ব্যক্তির পেট পুঁজ ভর্তি হয়ে যাওয়া কবিতায় ভর্তি হওয়া হতে উত্তম। (ই.ফা. ৫৬৯৮, ই.সে. ৫৭৩০)

【2】

পাশা খেলা হারাম হওয়া প্রসঙ্গ

বুরাইদাহ্‌ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক পাশা খেলা খেলল, সে যেন তার হাত শুকরের গোশত ও রক্তে রঙ্গিন করে তুলল। (ই.ফা. ৫৬৯৯, ই.সে. ৫৭৩১)