16. ভয়কালীন সালাত
ভয়কালীন সালাত
ছা‘লাবা ইব্ন যাহ্দাম (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা তাবারিস্থানে সাঈদ ইব্ন আসী (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। আর আমাদের সাথে হুযায়ফা ইব্নুল ইয়ামান (রাঃ)-ও ছিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের কে রাসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করেছে? তখন হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আমি। আর তিনি সেই সালাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বললেন, রাসূ্লুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক গ্রুপের সাথে ভয়কালীন এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। ঐ গ্রুপ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আর দ্বিতীয় গ্রুপ তাঁর এবং শত্রুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল। আর যে গ্রুপ তাঁর পিছনে ছিল তাদের সাথে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর এরা তাদের [যারা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও শত্রুর মাঝে দাঁড়িয়েছিল] কাতারবন্দী হওয়ার স্থানে ফিরে গেল। এবং তারা (যারা সালাত আদায় করেনি) আসলো। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। ছা‘লাবা ইব্ন যাহ্দাম (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা সাঈদ ইব্ন আসী (রাঃ)-এর সাথে তাবারিস্থানে ছিলাম, তখন তিনি বলেন, তোমাদের কে রাসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করেছ? তখন হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আমি। তারপর তিনি দাঁড়ালেন ও মানুষ তাঁর পিছনে দু’ কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। এক কাতার তাঁর পেছনে ও অন্য কাতার শত্রুর মুখোমুখি। তখন তিনি যারা তাঁর পেছনে ছিল তাদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর এরা(শত্রুর মুখোমুখি) জায়গায় চলে গেল এবং ওরা আসলো। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন এবং তারা (ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকআত) আদায় করেনি। যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুযায়ফা (রাঃ)-এর সালাতের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভাষ্য মতে আল্লাহ তা‘আলা সালাত আবাসে অবস্থানকালে চার রাকআত এবং সফরে দু’রাকআত আর ভয়কালীন সময়ে (ইমামের সাথে) এক রাকআত ফরয করেছেন। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিক্রদ্ নামক স্থানে সালাতে দাঁড়ালেন এবং অন্যান্য লোকেরাও তাঁর পেছনে দু’কাতারে দাঁড়িয়ে গেল, এক কাতার তাঁর পেছনে ও অন্য কাতার শত্রুর মুখোমুখী, তখন তিনি যে কাতার তাঁর পেছনে তাদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর এরা ওদের স্থানে ফিরে গেল এবং ওরা এসে গেল। তখন তিনি তাদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন এবং তারা (ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকআত) আদায় করেনি। আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, (একবার) রাসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতে দাঁড়ালেন এবং অন্যান্য মানুষেরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে গেল, তিনি তাকবীর বললেন আর তারাও তাকবীর বলল, তারপর তিনি রুকূ করলে তাঁদের কিছু লোকও রুকূ করল, তারপর তিনি সিজদা করলে তারাও সিজদা করলো, এরপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়লেন। যারা তাঁর সাথে সিজদা করেছিল তারা সরে গেল এবং তাদের ভাইদেরকে পাহারা দিতে লাগল। তারপর দ্বিতীয় গ্রুপ এসে গেল ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে রুকূ করল এবং সিজদা করল। আর সমস্ত মানুষ সালাতে তাকবীর বলছিল কিন্তু তারা কতক কতককে পাহারা দিচ্ছিল। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, ভয়কালীন সালাত দু’টি সিজদা ভিন্ন কিছুই ছিল না। তোমাদের এই ইমামদের পেছনে তোমাদের এই পাহারাদারদের আজ়কের সালাতের ন্যায়। হ্যাঁ; তা এক দলের পর আর এক দল পালাক্রমে আদায় করত। তাদের এক দল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়াত এবং এরা সকলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থাকত। তাঁদের একদল রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সিজদা করত। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ালে তারাও সকলে তাঁর সাথে দাঁড়াত। তারপর তিনি রুকূ করলে তারাও সকলে তাঁর সাথে রুকূ করত। তারপর তিনি সিজদা করলে যারা প্রথমে দাঁড়িয়ে ছিল, তাঁরা তাঁর সাথে সিজদা করত। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসতেন এবং যারা তাঁর সাথে তাঁদের সালাতের শেষে সিজদা করেছিল, তাঁরা সিজদা করত যারা (সালাতের শেষে) তাঁদের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল, অতঃপর তাঁরা বসে যেত, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের সালাম দ্বারা একত্রিত করে ফেলতেন। সহ্ল ইব্ন আবূ হাছমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) তাঁদের নিয়ে ভয়কালীন সালাত আদায় করছিলেন। তাঁর পেছনে একদল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্যদল শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর এরা চলে এবং (যারা শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল) তারা আসল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর এক দলের পর আর এক দল দাঁড়িয়ে গেল এবং এক রাকআত এক রাকআত সালাত আদায় করে নিল। ইব্ন মুহাম্মাদ (রহঃ) ঐ সাহাবী যিনি যাতুর রিকার জিহাদের দিন রাসুলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করেছিলেন, তার থেকে বর্ণিত যে, একদল রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শত্রুর মুখোমুখী (দাঁড়িয়ে গেল) যারা তাঁর সাথে ছিল তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তাঁরা নিজ়েদের সালাত পূর্ণ করে নিল। তারপর তারা ফিরে গিয়ে শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল আর দ্বিতীয় দল এসে গেলে তিনি তাঁদের নিয়ে ঐ রাকআত আদায় করে নিলেন, যে রাকআত তাঁর সালাত থেকে অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি ঠায় বসে রইলেন এবং তাঁরা নিজেদের অবশিষ্ট সালাত পূর্ণ করে নিল। তারপর তিনি তাঁদের নিয়ে সালাম ফিরালেন। ইসমাঈল ইব্ন মাসঊদ (রহঃ) সালিমের পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই দলের একটির সাথে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন, আর একদল শত্রুর মুখোমুখী। তারপর এরা চলে গেল এবং ওদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল, এবং ওরা এসে গেল, তখন তিনি তাঁদের নিয়ে দ্বিতীয় এক রাকআত সালাত আদায় করলেন, তারপর তাদের নিয়ে সালাম ফিরালেন, তারপর এরা দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের রাকআত পূর্ণ করে নিল, তারপর (যারা শত্রুর মুখোমুখি ছিল) তারা এসে নিজেদের রাকআত পূর্ণ করে নিল। আব্দুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমি নজ্দের দিকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এক জিহাদে গিয়েছিলাম। যখন আমরা শত্রুর মুখোমুখী হলাম এবং তাদের সামনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁর সাথে আমাদের একদলও দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্য দল শত্রুর সামনে চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাথে যারা ছিল তাঁরা একটি তাঁরা একটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা করল। তারপর এরা চলে গেল, তাদের স্থানে যারা সালাত আদায় করেনি। আর ঐ গ্রুপ আসলো যারা সালাত আদায় করেছিলেন। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালেন। তখন প্রত্যেক মুসলমান দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রূকূ ও দু’টি সিজদা আদায় করে নিল। যুহুরী (রহঃ) তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, তিনি (একবার) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করেছিলেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর বললেন এবং তাঁর পেছনে আমাদের একটি দল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা করলেন। তারপর এরা ফিরে গেল এবং শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাত আদায় করল ও তিনি অনুরূপ করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। তারপর উভয় গ্রুপের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের এ্কটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা আদায় করে নিল। আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-(একবার) ভয়কালীন সালাত আদায় করলেন, তিনি দাঁড়ালেন ও তাকবীর বললেন তখন তাঁর পেছনে আমাদের একদল সালাত আদায় করল। আর অন্যদল শত্রুর মুখোমুখী। তখন রাসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা করলেন। তারপর এরা ফিরে গেল এবং সালাম ফিরাল না ও শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর তাদের স্থানে কাতারবন্দী হয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তখন রাসূলূল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালেন ইত্যবসরে তিনি দু’টি রূকূ এবং চারটি সিজদা পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। তারপর উভয় দল দাঁড়িয়ে গেল এবং তাঁদের প্রত্যেকে নিজেদের একটি একটি রূকূ এবং দু’টি সিজদা আদায় করে নিল। ইব্ন উমর (রাঃ) তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন একদিন ভয়কালীন সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর সাথে একদল দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্য আর একদল শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। তখন তিনি যারা তাঁর সাথে ছিল তাঁদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তাঁরা চলে গেল এবং অন্য দল এসে গেল। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করলেন, তারপর উভয় দল এক এক রাকআত সালাত পূর্ণ করে নিল। মারওয়ান ইব্ন হাকাম (রহঃ) তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলেন যে, আপনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করেছিলেন? তখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ; তিনি প্রশ্ন করলেন, কখন? তিনি বললেন, নজ্দের জিহাদের বৎসর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসরের সালাতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর সাথে একটি দল দাঁড়িয়ে গেল। আর অন্য দল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর তাদের পিঠ কিবলামুখে ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর বললেন। যারা তাঁর সাথে ছিল তারাও সকলে তাকবীর বলল। আর যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল তারাও। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি রূকূ আদায় করলেন এবং যাঁরা তাঁর সাথে ছিল তারাও তাঁর সাথে একটি রূকূ আদায় করল। তারপর তিনি সিজদা করলেন এবং যে দল তাঁর সাথে ছিল তাঁরাও সিজদা করল। আর দ্বিতীয় দল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে রইল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং যে দল তাঁর সাথে ছিল তাঁরাও দাঁড়িয়ে গেল এবং শত্রুর অভিমুখে চলে গেল এবং তাদের মুখোমুখী হল। আর যে দল শত্রুর মুখোমুখী ছিল তাঁরা এসে গেল এবং রূকূ ও সিজদা করল। আর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ ছিলেন সেরুপ দাঁড়িয়ে রইলেন। তারপর তারাও দাঁড়িয়ে গেল তো রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বিতীয় আরও একটি রূকূ আদায় করলেন, আর তারাও তাঁর সাথে একটি রূকূ আদায় করলেন এবং তিনি সিজদা করলে্ন তো তারাও তাঁর সাথে সিজদা করল। তারপর ঐ গ্রুপ আসল যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল। তাঁরা রূকূ করল ও সিজদা করল, আর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং যারা তাঁর সাথে ছিল তারা বসে রইল। তারপর সালাম ফিরানো বাকী থাকলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালেন এবং সকলে সালাম ফিরালেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দু’রাকআত আদায় হয়েছিল আর উভয় দলের প্রত্যেকেরও দু’ দু’রাকআত আদায় হয়েছিল। আবু হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের অবরোধ করে দাজনান পর্বত এবং উসফান নামক স্থানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছিলেন। তখন মুশরিকরা বলল যে, এদের জন্য এমন একটি সালাত (আসর) রয়েছে, যা তাঁদের কাছে তাঁদের সন্তান-সন্ততি এবং কুমারী স্ত্রী হতেও বেশী প্রিয়। তোমরা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নাও। তারপর তাদের উপর একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়। তখন জিবরাঈল (আঃ) এসে তাঁকে বললেন যেন তিনি তাঁর সাহাবাদের দু’দলে বিভক্ত করে দেন এবং তাঁদের একদলকে নিয়ে সালাত আদায় করেন ও আর একদল যেন তাঁদের শত্রুর মুখোমুখি থাকে। তাঁরা সতর্ক ও সশস্ত্র থাকবে আর তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত সালাত আদায় করবেন। তারপর এরা পিছে সরে যাবে এবং তাঁরা (অন্যদল) সামনে আসবে এবং তাদের নিয়ে তিনি এক রাকআত সালাত আদায় করবেন। তাঁদের জন্য হবে এক এক রাকআত করে আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হবে দু’রাকআত। জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (একবার) তাঁদের সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করলেন। তখন তাঁর সামনে এক কাতার এবং তাঁর পেছনে অন্য আর এক কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তিনি যারা তাঁর পেছনে ছিল তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দু’টি সিজদা আদায় করলেন। তারপর এরা সামনে এসে গেল এবং তাঁদের সাথীদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। আর তারা এসে গেল এবং এদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়েও একটি রুকূ এবং দু’টো সিজদা আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হল দু’রাকআত এবং তাঁদের হল এক এক রাকআত। জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম, তখন সালাতের ইকামত দেওয়া হলো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাঁর পেছনে একটি দল দাঁড়িয়ে গেল। আর একটি দল শত্রুর মুখোমুখী। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যারা তাঁর পেছনে ছিল তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দু’টা সিজদা করলেন। তারপর এরা চলে গেল এবং যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল, তাঁদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। আর ঐ দল যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল, তারা এসে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দু’টি সিজদা করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরিয়ে ফেললেন, যারা তাঁর পেছনে ছিল তাঁরাও সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং অন্য দলও সালাম ফিরিয়ে ফেলল। জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ভয়কালীন সালাতে উপস্থিত ছিলাম। আমরা তাঁর পেছনে দু’ কাতারে দাঁড়িয়ে গেলাম, আর শত্রু বাহিনী আমাদের এবং কিবলার মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর বললেন আর আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকূ করলেন আর আমরাও রুকূ করলাম। তিনি মাথা উঠালেন আর আমরাও মাথা উঠালাম। যখন তিনি সিজদায় যাওয়ার জন্য মাথা নত করলেন তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)]-ও সিজদা করলেন এবং তাঁর কাছে যারা ছিল তারাও। আর দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে থাকলো। যখন তিনি এবং ঐ কাতার যা তাঁর কাছে ছিল মাথা উঠালেন। তখন দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তারপর দ্বিতীয় কাতার সিজদা করল নিজেদের স্থানেই যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা উঠালেন। তারপর ঐ কাতার পেছনে সরে গেল, যা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে ছিল। আর অন্য কাতার আগে বেড়ে গেল এবং তাঁরা তাঁদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। এরা অন্য গ্রুপের স্থানে যথাযথভাবে দাঁড়িয়ে গেল। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ করলেন তো আমরাও রুকূ করলাম। অতঃপর তিনি যখন মাথা উঠালেন তো আমরাও মাথা উঠালাম। আর যখন তিনি সিজদার জন্য আনত মস্তক হলেন, যারা তাঁর কাছে ছিল তাঁরাও সিজদা করল এবং অন্যরা দাঁড়িয়ে রইল। আর যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা উঠালেন এবং তাঁর সাথে যারা ছিল তাঁরাও মাথা উঠালেন, অন্য গ্রুপ সিজদা করল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ‘নাখ্ল’ নামক স্থানে ছিলাম। আর শত্রু বাহিনী আমাদের এবং কিবলার মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর বললেন আর সকলে তাকবীর বলল। তারপর তিনি রুকূ করলেন এবং সকলে রুকূ করল। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদা করলেন এবং তাঁর কাছে যারা ছিল তাঁরও, আর অন্যদল দাঁড়িয়ে তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল। যখন তাঁরা দাঁড়িয়ে গেল অন্য দল তাঁদের ঐ স্থানেই সিজদা করল যেখানে তাঁরা ছিল। তারপর এরা তাঁদের কাতার বন্দী স্থানে সম্মুখে অগ্রসর হলো। আর তিনি রুকূ করলেন এবং সবাই রুকূ করল। তিনি মাথা উঠালেন তো সবাই মাথা উঠাল। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিজদা করলেন এবং ঐ কাতারও যারা তাঁর কাছে ছিল। আর অন্য দল তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল। যখন এরা সিজদা করলও বসে গেল তখন অন্য দল তাঁদের স্থানেই সিজদা করে নিল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। জাবির বলেন, যেরূপ তোমাদের আমীরগণ করে থাকে। ইব্ন বাশ্শার (রহঃ) আমার কিতাব থেকে মুখস্থ রয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শত্রুর মুখোমুখী উসফান নামক স্থানে কাতারবন্দী অবস্থায় ছিলেন। আর মুশরিকদের মধ্যে খালিদ ইব্ন ওয়ালীদও ছিল, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়ে জোহরের সালাত আদায় করলেন। মুশরিকরা বলল, নিশ্চয় তাদের জন্য অত্র সালাতের পরে এমন একটি সালাত (আসর) রয়েছে, যা তাদের কাছে তাদের সহায়-সম্পদ এবং তাদের সন্তান-সন্ততি থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের নিয়ে আসরের সালাত আদায় করলেন। আর তাঁর পেছনে তাদের দু’টি কাতার করলেন এবং তাদের সবাইকে নিয়ে রুকূ করলেন, যখন তাঁরা তাদের মাথা উঠালেন, তখন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ কাতার নিয়ে সিজদা করলেন যা তাঁর কাছে ছিল এবং অন্যরা দাড়িয়ে রইল। আর যখন তারা তাদের সিজদা থেকে অবসর হয়ে গেল, তখন পেছনে সারির লোকেরা তাঁর সাথে সিজদা করল। তারপর নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। আবু আয়্যাশ যুরাকী (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা (একবার) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ‘উসফান’ নামক স্থানে ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে জোহরের সালাত আদায় করলেন, আর সে দিন মুশরিকদের মধ্যে খালিদ ইব্ন ওয়ালীদও ছিল। তখন মুশরিকরা বলল, আমরা (জোহরের সালাতের সময়) তাদের ব্যাপারে অন্য মনস্কতা প্রদর্শন করে ফেলেছি, আমরা তাদের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন করে ফেলেছি, তখনই জোহর এবং আসরের সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে ভয়কালীন সালাতের বিধান অবতীর্ণ হল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে আসরের সালাত আদায়কালে আমাদের দু’দলে ভাগ করে দিলেন, এক দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সালাত আদায় করছিল এবং অন্য দল তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল, আর তিনি যারা তাঁর কাছে ছিল এবং যারা তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল উভয় দলকে নিয়ে তাকবীর বললেন, তারপর রুকূ করলেন। এবং সকলে তাঁর সাথে রুকূ করলেন। তারপর যারা তাঁর কাছে ছিল তাঁরা সিজদা করল। এরা যারা তাঁরা কাছে ছিল পিছু হটে গেল। অন্যরা আগে বেড়ে গেল এবং তাঁরা সিজদা করল, তারপর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন ও যারা তাঁর কাছে ছিল এবং যারা তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল তাঁদের সবাইকে নিয়ে দ্বিতীয় রুকূ করলেন। তারপর তিনি সিজদা করলেন তাদের নিয়ে যারা তাঁর কাছে ছিল। তারপর তারা পিছু হটে গেল এবং সাথীদের কাতারের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল ও অন্যরা আগে বেড়ে গেল ও সিজদা করল। তারপর তিনি তাঁদের নিয়ে সালাম ফিরালেন। অতএব তাঁদের প্রত্যেকের জন্য সালাত হল দু’ দু’ রাকআত ইমামের সাথে। আর তিনি একবার বনী সুলাইমের ভূমিতেও সালাত আদায় করেছিলেন। আবূ বাকরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি দল নিয়ে ভয়কালীন দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। অন্য আর একটি দল নিয়েও দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। অতএব, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার রাকআত সালাত আদায় করলেন। জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদের একটি দল নিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন তারপর অন্যদের নিয়েও দু’রাকআত সালাত আদায় করেন ও সালাম ফিরাল। সহ্ল ইব্ন আবু হাছমা (রাঃ) তিনি বলেন, ইমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের এক দল ইমামের সাথে দাঁড়াবে, আর এক দল শত্রু মুখোমুখী দাঁড়াবে এবং তাদের চেহারা থাকবে শত্রুর দিকে। ইমাম তাদের নিয়ে একটি রুকূ করবেন এবং তাঁরা তাদের জন্য একটি রুকূ করবে ও তারা দু’টা সিজদা করবে তাদের স্থানে। তারপর এরা তাদের স্থানে চলে যাবে ও ওরা এসে যাবে। ইমাম তাদের নিয়ে রুকূ করবে ও দু’টা সিজদা করবে। অতএব সালাত ইমামের জন্য হবে দু’রাকআত আর তাদের জন্য হবে এক রাকআত। অতঃপর তারা একটি রুকূ আদায় করবে ও দু’টা সিজদা করবে। জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদের নিয়ে ভয়কালীন সালাত আদায় করলেন। একটি দল তাঁর সাথে সালাত আদায় করল এবং অন্য আর এক দল, তাঁদের চেহারা ছিল শত্রুর অভিমুখে। তিনি তাঁদের নিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তাঁরা অন্যদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্যরা এসে গেল। তিনি তাঁদের নিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন, তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। আবূ বাকরা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার যারা তাঁর পেছনে ছিল তাঁদের নিয়ে এবং যারা পরে এসেছিল তাঁদের নিয়ে দু’রাকআত ভয়কালীন সালাত আদায় করেন। অতএব, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য হয়েছিল চার রাকআত এবং এদের জন্য হয়েছিল দু’রাকআত।