32. উমরারূপে দান করা
উমরারূপে দান১ করা
যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ উমরা ওয়ারিসদের জন্য। যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উমরা ওয়ারিসদের জন্য। যায়দ ইব্ন সাবিত(রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়ারিসদের জন্য উমরার ফয়সালা দিয়েছেন। যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বস্তুর ‘উমরা’ করে, তা ঐ ব্যক্তির হয়ে যাবে যার জন্য তা করা হয় ...... তার হায়াত ও মওত সর্বাবস্থার জন্য। [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বলেনঃ তোমরা ‘রুক্বা’ করো না। আর যে ব্যক্তি কোন বস্তুতে রুক্বা করে, তবে তা তার বিধানমত চালু থাকবে। আবদুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস(রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমরারূপে দান বৈধ (চলমান থাকবে)। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমরা করা বৈধ (কার্যকর)। মাকহূল (রহঃ) তাঊস (রহঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্রা এবং রুক্বাকে স্থায়ী (-রূপে কার্যকর) করেছেন।
উমরার ব্যাপারে জাবির (রাঃ)-এর রিওয়ায়াতে রাবীদের বর্ণনায় বিরোধ
জাবির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে খুতবা দিতে গিয়ে বললেন: উমরা বৈধ (কার্যকর)। আতা (রহঃ) তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরা এবং রুক্বা করতে নিষেধ করেছেন। আমি বললাম: রুক্বা কি? তিনি বললেন: কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে এই বলা যে, এই বস্তু তোমরা, যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে। তবে যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা বৈধ (কার্যকর হবে)। জাবির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: উমরা বৈধ (কার্যকর)। আতা (রাঃ) তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যদি কোন ব্যক্তিকে তার জীবন শর্তে কোন কিছু দান করা হয়, তবে তা জীবনকালে ও মৃত্যুর পরে তারই হয়ে যাবে। জাবির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা রুক্বা করো না এবং উমরা করো না। আর যাকে উম্রা এবং রুক্বা হিসেবে কিছু দান করা হয়, তা তার ওয়ারিসদের জন্য হবে। ইব্ন উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: উমরা এবং রুক্বা (করা উচিত) নয়। তবু যদি কাউকে উমরা অথবা রুক্বা হিসেবে কিছু দেয়া হয়, তবে তা ঐ ব্যক্তির হয়ে যাবে, তার জীবনকাল ও মৃত্যুর পরেও। ইব্ন উমর (রাঃ) তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : উমরা এবং রুক্বা (করা উচিত) নয়। যাকে উমরা অথবা রুক্বা হিসেবে কিছু দেয়া হয়, তবে তা তারই হবে-জীবিত অবস্থায় এবং মরণের পরেও। আতা (রহঃ) বলেন, তা দ্বিতীয় (দানকৃত) ব্যক্তির জন্য। হাবীব ইব্ন আবূ সাবিত (রহঃ) তিনি বলেন, আমি বলতে শুনেছি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুক্বা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন: যাকে কিছু রুক্বা হিসেবে দেয়া হয়, তা তারই হয়ে যাবে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যাকে উমরা হিসেবে কিছু দান করা হয়, তা জীবনে ও মরণে ঐ ব্যক্তিরই হয়ে যায়। জাবির (রাঃ) তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : হে আনসারগণ ! তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ নিজের কাছে রাখ, তা উমরা করো না। কেননা যে ব্যক্তি কাউকে কোন বস্তু উমরা হিসেবে দান করে, ঐ মাল ঐ ব্যক্তির হয়ে যাবে যাকে উমরারূপে দেয়া হবে, তার জীবিতাবস্থায় এবং মরণান্তে। জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের সম্পদ তোমাদের নিজেদের নিকট রেখে দাও, তা উমরা করো না। কেননা যদি কাউকে তার হায়াতকালের জন্য উমরারূপে কিছু দান করা হয়, তবে তা ঐ ব্যক্তির জীবিতাবস্থায় এবং মরণান্তে তার হয়ে যাবে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যার জন্য রুক্বা করা হয়, (রুক্বা) তারই হয়ে যায়। জাবির (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : উমরা (-র বস্তু) যাকে দেয়া হয়, তা তার জন্য বৈধ হয়ে যায়। আর রুক্বা যাকে দেয়া হয়, তা তার জন্য বৈধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে যুহরী হতে বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় বিরোধ
জাবির (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যাকে উমরারূপে কিছু দেয়া হয়, তা তার এবং তার (পরে তার) উত্তরসূরীদের জন্য। তার উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা তার ওয়ারিস হবে, তারাই এর (উমরার) ওয়ারিস হবে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যার জন্য উমরা করা হয়, ‘উমরা’ (কৃত বস্তু) তারই হবে। তার (পরে তার) উত্তরসূরীদের জন্য। তার উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা তার ওয়ারিস হবে, তারাই এর (উমরার) ওয়ারিস হবে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যার জন্য উমরা করা হয়েছে, উমরা তারই। আর তার পরে যারা তার ওয়ারিস হবে, তা তাদের জন্য। আবদুল্লাহ্ ইব্ন যুবায়র (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে কেউ (যদি) কাউকে উমরা হিসেবে কিছু দান করে এবং তার পরবর্তীদেরকে তাহলে ঐ বস্তু যাকে দেয়া হয়েছে, তার হয়ে যাবে এবং তার উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা তার ওয়ারিস হবে তাদের জন্য মীরাসরূপে হয়ে যাবে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : কেউ যদি কোন ব্যক্তিকে উমরা হিসেবে কিছু দান করে এবং তার ওয়ারিসদেরকে, তবে সে নিজের কথা দ্বারা নিজের অধিকার রহিত করল। তার কথা দ্বারা ঐ মাল ঐ ব্যক্তির এবং তার উত্তরসূরীদের হয়ে যাবে। জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে কোন ব্যক্তি উমরা হিসেবে কাউকে কিছু দান করে এবং তার ওয়ারিসদেরকে; তবে ঐ বস্তু যাকে দেয়া হয়েছে তার হয়ে যাবে; যে দান করেছে তা তার নিকট ফিরে আসবে না। কেননা সে এমন একটি দান করেছে যাতে ‘মীরাস’- এর অধিকার প্রযুক্ত হয়েছে। জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন যে, যে ব্যক্তি কাউকে কিছু উম্রা হিসেবে তাকে দান করে এবং তার উত্তরসূরীদের (দান করে) তবে তা অবশ্যই তার হয়ে যাবে যাকে তা দান করা হয়েছে। যাকে দান করা হয়েছে, সে মালিকের পক্ষে তা মীরাস সাব্যস্ত হবে --- আল্লাহ্ তা’আলার মীরাসের বিধান ও অধিকার অনুসারে। জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফয়সালা প্রদান করেছেন ; যে ব্যক্তি নিজের মাল অন্যের জন্য উমরা করে এবং তার ওয়ারিসদের জন্যও, তবে তা অখন্ডনীয়রূপে তার হয়ে যাবে। দাতার জন্য এতে কোন শর্ত করা এবং কিছু বাদ রাখাও বৈধ নয়। রাবী আবূ সালামা (রহঃ) বলেন; কেননা সে এমন দান করেছে যাতে (গ্রহীতার) ওয়ারিসদের মীরাস ধার্য হয়ে গেছে, মীরাসের বিধানদাতার শর্ত কর্তন (শেষ) করে দিয়েছে। জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তি এবং তার উত্তরসূরীদের জন্য উমরা করলো, এই বলে যে, আমি ইহা তোমাকে এবং তোমার উত্তরসূরীদেরকে দান করলাম - যতদিন তোমাদের কেউ বেঁচে থাকবে। তবে যাদেরকে দান করা হয়েছে, তা তাদের হয়ে যাবে। আর এটা দাতার দিকে ফিরে আসবে না। কেননা সে এমনভাবে দান করেছে, যাতে (গ্রহীতার) মীরাসের বিধান সাব্যস্ত হয়ে গেছে। [১] জাবির (রাঃ) যে, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উমরা’ সম্পর্কে এভাবে ফায়সালা দিয়েছেন : যদি কেউ এই শর্তে কাউকে কোন কিছু দান করে এবং তার উত্তরসূরীদেরও যে, যদি তোমার উপর কোন বিপদ উপস্থিত হয়, তখন তা আমার এবং আমার উত্তরসূরীদের হয়ে যাবে। তিনি ফায়সালা দিয়েছেন যে, ঐ মাল যাকে দেয়া হয়েছে তার এবং তার (গ্রহীতার এবং গ্রহীতার) ওয়ারিসদের হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে আবূ সালমা (রহঃ)- এর হাদীসে ইয়াহ্য়া ইব্ন আবূ কাসীর (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন আমর (রহঃ)-এর বর্ণনা বিরোধ
আবূ সালমা (রাঃ) তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : উমরা (-রূপে প্রদত্ত জিনিস) ঐ ব্যক্তির হয়ে যায়, যার জন্য উমরা করা হয়। জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : যার জন্য উমরা দান করা হয়, তা তারই হয়ে যায়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : ‘উমরা’করা ঠিক নয়; তবে যদি কাউকে উমরা হিসেবে কিছু দান করা হয়, তবে তা তারই হয়ে যাবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : যাকে উমরা হিসেবে কিছু দেয়া হয়; তা তারই হয়ে যায়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : উমরা (করা) বৈধ (কার্যকর)। শুরায়হ (রহঃ) তিনি বলেন, আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফায়সালা দিয়েছেন : উমর (করা) বৈধ। কাতাদা (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, মুহাম্মাদ ইব্ন নাযর (রহঃ) বাশীর ইব্ন নাহিক (রহঃ) সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : ‘উমরা’ জায়েয (কার্যকর)। কাতাদা (রহঃ) বলেন, হাসান (রহঃ) বলেছেন : উমরা করা বৈধ। কাতাদা (রহঃ) বলেন, যুহরী (রহঃ) বলেছেন : ‘উমরা’ করা তখন বৈধ হবে যখন কোন ব্যক্তিকে এবং তার উত্তরসূরীদেরকে (ওয়ারিসদেরকে) উমরা করা হয়, (তখন ঐ উমরা করা বস্তু দাতার দিকে পুনঃ প্রত্যাবর্তন করবে না)। তবে যদি ওয়ারিসদের জন্য উমরা না করে থাকে, তবে তা শর্ত মত হবে, (অর্থাৎ দাতা ফেরত পাবে)। কাতাদা (রহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি আতা ইব্ন আবূ রাবাহ (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : উমরা করা বৈধ। কাতাদা (রহঃ) বলেন, যুহরী (রহঃ) বলেছেন : খলীফাগণ এর আদেশ করেন নি। আতা (রহঃ) বলেন : আবদুল মালিক ইব্ন মারওয়ান এরূপ করার আদেশ দিতেন।
স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান
আমর ইব্ন শুআয়ব (রহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : স্ত্রীর পক্ষে তার মাল হতে দান করা বৈধ নয়, যখন তার স্বামী তার ইযযতের মালিক হয়ে যায়। [১] আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর ইব্ন শু’আয়ব (রহঃ) তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের পর খুতবা দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললেন : স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোন স্ত্রীর জন্য কাউকে কিছু দান করা বৈধ নয়। আবদুর রহমান ইব্ন আলকামা (রাঃ) সাকাফী গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়, তখন তাদের হাতে কিছু হাদিয়া ছিল। তিনি বললেন : এটা হাদিয়া না সাদকা ? যদি তা হাদিয়া হয়, তবে এরদ্বারা তো আল্লাহ্র রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জন এবং উদ্দেশ্য পূর্ণ হওয়ার বাসনা হয়ে থাকে। আর যদি তা সাদাকা হয়, তবে তা মহান মহীয়ান আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভ করা উদ্দেশ্য। তারা বললেন : না, ইহা হাদিয়া। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের এই হাদিয়া গ্রহণ করলেন। আর তিনি তাদের সাথে উপবেশন করলেন এবং তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলেন (তাদের প্রশ্ন করতে লাগলেন এবং তারাও তাঁকে প্রশ্ন করতে) লাগলো। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুহরের সালাত আদায় করলেন আসরের সালাতের সঙ্গে, অর্থাৎ জুহরের শেষ ওয়াকতে জুহরের সালাত আদায় করে, আসরের প্রথম ওয়াকতে সেখানে আসরের সালাত আদায় করেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : আমি ইচ্ছা করেছিলাম, কারো হাদিয়া গ্রহণ করবো না; তবে কুরায়শী, আনসারী, ‘সাকাফী এবং দাওসীদের হাদিয়া গ্রহন করবো। আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে গোশ্ত দেয়া হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : এ কী (এই গোশত কোন্ ধরনের)? বলা হলো : তা বারীরাহ্কে সাদ্কারূপে দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন : তা তার জন্য তো সাদ্কা, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া।