32. কুরআনের কিরাআত ও পাঠের নিয়ম
কুরআনের কিরাআত ও পাঠের নিয়ম
জাবির (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত (এভাবে) পড়েছেনঃ “তোমরা মাক্বামে ইবরাহীমকে সলাতের স্থান বানিয়ে নাও”। (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১২৫)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) একদা রাতে এক লোক উচ্চস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করলো। সকালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ অমুক ব্যাক্তির উপর রহমাত বর্ষণ করুন। সে রাতে আমাকে এমন কিছু আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমি প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, “আর নাবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানাত করবেন।” - এই আয়াত বদরের যুদ্ধের সময় অবতীর্ণ হয়েছে। বদরের যুদ্ধের সময় একটা লাল চাঁদর হারিয়ে গেলে কতিপয় লোক বলাবলি করলো, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা নিয়েছেন। তখন আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “আর নাবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানাত করবেন। অথচ যে ব্যাক্তি খিয়ানাত করবে সে খিয়ানাতকৃত বস্তুসহ ক্বিয়ামাতের দিন উপস্থিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের পূর্ণ বিনিময় পাবে এবং তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র যুলুম করা হবে না” (সূরাহ আল-‘ইমরানঃ ১৬১)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘ইয়াগুলু’ শব্দের ইয়া-তে যবর হবে। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কৃপণতা ও বার্ধক্য হতে আশ্রয় চাইছি। লাক্বীত্ব ইবনু সাবিরাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমি বনী মুনতাফিকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সীন হরফে যের পড়েছেন সীনে যবর দিয়ে পড়েননি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, এক অভিযানে মুসলিমগণ এক লোকের সাক্ষাত পেলো, যার কিছু বকরী ছিল। লোকটি বললো, আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। (অথচ) তারা তাকে হত্যা করে বকরীগুলো নিয়ে নিলো। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “কেউ তোমাদের সালাম দিলে দুনিয়াবী সম্পদের লোভে তাকে বলো না যে, তুমি মু’মিন নও” (সূরাহ আন-নিসাঃ ৯৪)। অর্থাৎ সেই বকরীগুলো। খারিজাহ ইবনু যায়িদ ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে তার পিতা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনের এই আয়াত এভাবে (পেশ দিয়ে) পড়তেনঃ (আরবী)। [৩৯৭৫] আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত (এভাবে) পড়তেনঃ (আরবী)। [৩৯৭৬] আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত এভাবে পড়তেন। (আরবী)। ‘আত্বিয়্যাহ ইবনু সা’দ আল-‘আওফী (রাঃ) আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের সামনে এই আয়াত (আরবী) - এভাবে পাঠ করলে তিনি বলেন (আরবী) পাঠ করো। বর্ণনাকারী বলেন, আমিও তোমার মত রসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনে পড়েছিলাম। ফলে তিনি আমার ভুল ধরেছিলেন যেমন আমি তোমার ভুল ধরেছি। [৩৯৭৮] আবু সাঈদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে পড়তেনঃ (আরবী)। [৩৯৭৯] ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা তিনি বলেন, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ (আরবী)। [৩৯৮০] উবাহ ইবনু কা’ব (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ (আরবী)। [৩৯৮১] আসমা বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছেনঃ (আরবী)। [৩৯৮২] শাহর ইবনু হাওশাব (রাঃ) তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই কিভাবে পড়তেনঃ (আরবী)? তিনি বলেনঃ তিনি এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ (আরবী)। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন দু’আ করতেন তখন প্রথমে নিজের জন্য দু’আ করতেন এবং বলতেনঃ আমাদের উপর এবং মূসার উপর আল্লাহর রহমাত। যদি তিনি ধৈর্য ধারণ করতেন, তাহলে তিনি তার সঙ্গী (খিযির) থেকে আশ্চর্যকর জিনিস দেখতে পেতেন। বরং তিনি ধৈর্য্য না ধরে বলেনঃ (আরবী)। ক্বারী হামযাহ শব্দটি দীর্ঘ করে পাঠ করেন। [৩৯৮৪] উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াতের (আরবী) লাদুন্নী শব্দের নূনকে তাশদীদ সহকারে পড়েছেন। [৩৯৮৫] ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) আমাকে ঐভাবে পড়িয়েছেন যেভাবে রাসূলুল্লাহ (রাঃ) তাকে পড়িয়েছিলেন। যেমন (আরবী)। এখানে (আরবী) শব্দটি হালকাভাবে পড়েছেন। [৩৯৮৬] আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘ইল্লীনের অধিবাসী এক ব্যাক্তি জান্নাতবাসীদের দিকে তাকাবে। ফলে জান্নাত তার দৃষ্টির কারণে মোতির মত উজ্জ্বল হয়ে যাবে।” বর্ণনাকারী বলেন, হাদীসে এভাবেই এসেছে। এখানে (আরবী) শব্দটি দালের উপর পেশ হবে যের বা যবর হবে না। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আবূ বাক্র এবং ‘উমার তাদের দলভুক্ত হবেন। বরং তারা ঐ মতির চাইতে উত্তম। [৩৯৮৭] ফারওয়াহ ইবনু মুসাইক আল-গুতাইফী (রাঃ) তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। অতঃপর হাদীস উল্লেখ করেন। এ সময় কওমের এক লোক জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে ‘সাবা’ সম্পর্কে সংবাদ দিন। সেটা কি কোন জায়গার নাম নাকি কোন মহিলার নাম? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সেটা কোন জায়গা বা মহিলার নাম নয়। বরং তা আরবের একজন লোকের নাম। লোকটির দশজন পূত্র ছিল। যাদের ছয়জন ইয়ামানে এবং চারজন সিরিয়াতে বাস করে। [৩৯৮৮] আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে ওয়াহীর হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন এই আয়াত পড়েছেনঃ (আরবী)। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াত এভাবে পড়েছেনঃ (আরবী)। ইমাম আবূ দাউদ বলেন, এই বর্ণনাটি মুরসাল। কারণ বর্ণনাকারী রবী‘ উম্মু সালামাহ্র সাক্ষাৎ পাননি। [৩৯৯০] ‘আয়িশাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এই আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছিঃ (আরবী)। [৩৯৯১] সাফওয়ান ইবনু ইয়া’লা তার পিতা তিনি বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারের উপর এই আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছিঃ (আরবী)। এই আয়াত ‘ইয়া মা-লা’ পড়া হয়ে থাকে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এই আয়াত এভাবে পড়িয়েছেনঃ (আরবী)। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ (আরবী)। ইমাম আবূ দাউদ বলেন, মীম অক্ষর পেশ, দাল অক্ষর যবর এবং কাফ অক্ষর যের বিশিষ্ট হবে। জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখছি এই আয়াত এভাবে পড়তেঃ (আরবী)। [৩৯৯৫] আবূ ক্বিলাবাহ (রাঃ) আবূ ক্বিলাবাহ (রাঃ) তার থেকে শুনেছেন, যাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এই আয়াত) এভাবে পড়িয়েছেনঃ (আরবী)। [৩৯৯৬] আবূ ক্বিলাবাহ (রাঃ) আমার কাছে ঐ ব্যাক্তি বর্ণনা করেছেন, যাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পড়িয়েছেনঃ (আরবী)। অর্থাৎ তিনি (আরবী)-এর যাল অক্ষরে যবর দিয়ে পড়তেন। [৩৯৯৭] আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি হাদীসে বর্ণনা করেনঃ (আরবী)। তিনি বলেনঃ (আরবী)। এতে কয়েক ধরনের কিরাআত আছে। [৩৯৯৮] মুহাম্মাদ ইবনু খাযিম (রহঃ) একদা আ’মাশ (রহঃ)-এর নিকট উল্লেখ করা হলো, জিবরাঈল ও মীকাঈল-এর কিরাআত কিরূপ? তখন আ’মাশ (রহঃ) আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করলেনঃ আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিংগাওয়ালা (ইসরাফীল) সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তার ডানপাশে জিব্রাঈল ও তার বাম পাশে মীকাঈল থাকবেন। [৩৯৯৯] ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাক্র, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ) এ আয়াত (আরবী) এই নিয়মে অর্থাৎ ‘মীম’-এর সাথে আলিফ-সহ পড়েন। মারওয়ান সর্বপ্রথম ‘আলিফ ছাড়া পড়েন। [৪০০০] উম্মু সালামাহ (রাঃ) তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কুরআন পাঠ বর্ণনা করেন অথবা অনুরূপ শব্দ প্রয়োগ করেন (আরবী)। তিনি প্রতিটি আয়াত বিরতি দিয়ে পাঠ করতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি আহ্মাদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, প্রাচীন কিরাআত হলো (আরবী)। আবূ যার (রাঃ) তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” (সূরাহ কাহ্ফঃ ৮৬)। [৪০০২] ইবনুল আস্কা’ (রাঃ) এর মুক্তদাস হতে ইবনুল আস্কা’র তিনি ইবনুল আস্কা’কে বলতে শুনেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাজিরদের আঙ্গিনায় তাদের নিকট আসলেন। তখন এক ব্যাক্তি তাঁকে প্রশ্ন করলো, কুরআনের কোন্ আয়াতটি সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ? তিনি বলেনঃ (আরবী)। আয়াতুল কুরসী। ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) তিনি এ আয়াত (আরবী) (‘তা’র উপর যবর দিয়ে) পড়েছেন। শাকীক (রহঃ) বললেন, আমরা তো এ আয়াত (আরবী) (‘হা’ তে যের ও ‘তা’র উপর পেশ দিয়ে) পড়ে থাকি। ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বললেন, আমাকে যে রীতিতে পড়া শিখানো হয়েছে, আমি সেভাবেই পড়তে ভালোবাসি। [৪০০৪] শাকীক (রহঃ) তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-কে বলা হলো, কিছু লোক এ আয়াত (আরবী) পড়ে (‘হা’র নীচে যের এবং ‘তা’র উপর পেশ দিয়ে)। তিনি বললেন, আমাকে যেভাবে শিখানো হয়েছে আমি সেভাবেই পড়া পছন্দ করি। এ বলে তিনি পাঠ করলেন (আরবী) (‘হা’র উপর ও ‘তা’র উপর যবর দিয়ে)। [৪০০৫] আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ বনী ইসরাঈলকে বলেনঃ (আরবী) “তোমার নতশিরে দরজা দিয়ে প্রবেশ করো আর বলতে থাকো, “ক্ষমা করুন”, তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করা হবে” (সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ৫৮)। [৪০০৬] হিশাম ইবনু সা’দ (রহঃ) হিশাম ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে তার সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। ‘আয়িশাহ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে আর তিনি আমাদের নিকট তা পাঠ করেছেনঃ (আরবী) (সূরাহ আন-নূরঃ ১)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ হালকাভাবে নয়। অতঃপর তিনি সামনের দিকে পড়তে থাকেন। [৪০০৮]