10. শিশুর দুধপান
যে সকল লোক বংশগত সূত্রে হারাম সে সকল লোক দুধপানের কারণেও হারাম
আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সকল লোককে আল্লাহ তা'আলা বংশগত সম্পর্কের কারণে (বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে) হারাম করেছেন, একইভাবে সে সকল লোককে দুধপানের কারণেও (বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে) হারাম করেছেন। সহীহ্, ইরওয়া (৬/২৮৪) আইশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সকল লোককে আল্লাহ তা'আলা জন্মসূত্রে (বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে) হারাম করেছেন, সে সকল লোককে দুধপানের কারণেও হারাম করেছেন। সহীহ্ ইবনু মাজাহ (১৯৩৭), বুখারী, মুসলিম
পুরুষের মাধ্যমে নারী দুগ্ধবতী হয়
আইশা (রাঃ) তিনি বলেন, আমার দুধ সম্পর্কের চাচা এসে ভিতরে প্রবেশের জন্য আমার নিকট অনুমতি চাইলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে অনুমতি না নেওয়া পর্যন্ত তাকে ভিতরে আসতে অনুমতি প্রদানে সম্মত হইনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তিনি তোমার চাচা, তিনি তোমার নিকট আসতে পারেন। আইশা (রাঃ) বললেন, আমাকে তো স্ত্রীলোক দুধপান করিয়েছেন, পুরুষ লোক তো আমাকে দুধ পান করাননি। তিনি বললেনঃ তিনি তোমার চাচা, তিনি তোমার নিকট আসতে পারেন। সহীহ্, ইবনু মাজাহ (১৯৪৮), বুখারী, মুসলিম ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করা হল, এক ব্যক্তির কাছে দুইজন দাসী আছে। তাদের মধ্যে একজন একটি কন্যা সন্তানকে দুধ পান করিয়েছে এবং অন্যজন একটি ছেলে সন্তানকে দুধ পান করিয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এই ছেলেটি কি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। তিনি বলেন, না। কেননা, তারা দুইজন তো একজন পুরুষের দ্বারাই দুগ্ধবতী হয়েছে। সনদ সহীহ্
এক-দুই চুমুক দুধ পান করলেই বিয়ে হারাম হওয়া সাব্যস্ত হয় না
আইশা (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক-দুই চুমুক দুধ পান (বিয়ের বৈধতাকে) হারাম করে না। সহীহ্, ইবনু মাজাহ (১৯৪১), মুসলিম
দুধপান প্রসঙ্গে একজন মহিলার সাক্ষ্য
উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) তিনি বলেন, আমি এক মহিলাকে বিয়ে করলাম। তারপর আমাদের নিকট একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে বলল, তোমাদের দুজনকেই আমি দুধ পান করিয়েছি। আমি (উকবা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, অমুকের কন্যা অমুককে আমি বিয়ে করেছি। আমাদের নিকট এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে বলল, “তোমাদের দুজনকেই আমি দুধ পান করিয়েছি”। সে মিথ্যাবাদিনী। বর্ণনাকারী বলেন, (এ কথায়) তিনি আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি ঘুরে গিয়ে তাঁর সামনে এলাম, তিনি আমার কাছ থেকে তার মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি বললাম, সেতো মিথ্যাবাদিনী। তিনি বললেনঃ “তুমি কিভাবে এর সাথে বিয়ে বহাল রাখতে পার ! অথচ সে বলেছে, সে দুধ পান করিয়েছে তোমাদের দুজনকেই। সুতরাং তুমি তাকে ছেড়ে দাও (তালাক দাও)। সহীহ্, ইরওয়া (২১৪৬), বুখারী
দুই বছরের কম বয়সের শিশু দুধপান করলেই বিয়ের সম্পর্ক হারাম হয়
উম্মু সালাম (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুধ ছাড়ানোর বয়সের পূর্বে স্তনের বোঁটা হতে শিশুর পাকস্থলীতে দুধ না গেলে দুধপানের নিষিদ্ধতা কার্যকর হয় না (অর্থাৎ দুধপান জনিত কারণে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ হয় না)। সহীহ্, ইবনু মাজাহ (১৯৪৬)
দুধপানের বিনিময় কিভাবে শোধ করা যায়
হাজ্জাজ আসলামী (রাঃ) তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যে দুধপান করেছি তার হাক্ব কিভাবে মিটাতে পারি? তিনি বলেনঃ (দুধমাকে) একটি ক্রীতদাস অথবা একটি দাসী দান করে (এ দাবি মিটাতে পার)। যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (৩৫১)
সধবা মহিলাকে দাসত্বমুক্ত করা হলে
আইশা (রাঃ) তিনি বলেন, বারীরার স্বামী একজন ক্রীতদাস ছিল। বারীরাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বাধীনতা দান করলেন (দাসত্ব হতে মুক্তির পর বিয়ের বন্ধন অক্ষুন্ন রাখার বা ছিন্ন করার)। বারীরা নিজের স্বাধীনতা প্রয়োগ করেন (বিয়ের বন্ধন ছিন্ন করেন)। যদি সে লোকটি (স্বামী) স্বাধীন হতো তাহলে তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) কখনও তাকে (বারীরাকে) এ স্বাধীনতা প্রদান করতেন না। সহীহ্, ইরওয়া (১৮৭৩), সহীহ্, আবূ দাউদ (১৯৩৫), স্বামী যদি স্বাধীন হতো ব্যাক্যাংশটি উরওয়ার নিজস্ব । হাদীসের প্রথম অংশটি বুখারীতেও আছে। আইশা (রাঃ) তিনি বলেন, বারীরার স্বামী ছিল স্বাধীন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (বারীরাকে) ইখতিয়ার প্রদান করলেন। "বারীরার স্বামী স্বাধীন ছিল" এই শব্দে হাদীসটি শাজ। দাস ছিল এই বর্ণনাটি সংরক্ষিত। ইবনু মাজাহ (২০৭৪) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বারীরাকে গোলাম হতে মুক্তি দেয়ার সময় তার কৃষ্ণাঙ্গ স্বামী মুগীরা গোত্রের গোলাম ছিল। আল্লাহ্র শপথ! আমি যেন মাদীনার রাস্তায় ও অলিতে-গলিতে তাকে (মুগসিকে) বেড়াতে দেখছি আর তার চোখের পানি তার দাঁড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল। সে যেন তাকে ফিরিয়ে না দেয় সেই উদ্দেশ্যে বারীরাকে সম্মত করাতে চেষ্টা করছিল। কিন্তু বারীরা তা করেনি। সহীহ্ বুখারী, মুসলিম
বাচ্চার মালিক বিছানা
আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিছানার মালিকই বাচ্চার মালিক এবং ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। সহীহ্ বুখারী, মুসলিম
কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের ভাল লাগলে
জাবির (রাঃ) একটি মহিলাকে দেখার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাইনাব (রাঃ) –এর ঘরে যান এবং নিজের চাহিদা পূর্ণ করেন (সহবাস করেন)। তারপর বাইরে এসে বলেনঃ কোন মহিলা যখন আগমন করে সে শাইতানের বেশে আগমন করে। অতএব, কোন মহিলাকে দেখার পর তোমাদের কোন লোকের যদি তাকে ভাল লাগে তবে সে যেন নিজ স্ত্রীর নিকট যায়। কেননা, ঐ মহিলার যা আছে তার (স্ত্রীর)-ও তা আছে। সহীহ্, সহীহা (২৩৫)
ন্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
আবূ হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যদি কাউকে অন্য কোন লোকের প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। হাসান সহীহ্, ইবনু মাজাহ (১৮৫৩) তলক ইবনু আলী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক তার স্ত্রীকে নিজ প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে ডাকলে সে যেন সাথে সাথে তার নিকট আসে, এমনকি সে চুলার উপর রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও। সহীহ্, মিশকাত (৩২৫৭), সহীহা (১২০২) উম্মু সালামা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন নারী তার স্বামীকে খুশী রেখে মারা যায় সে জান্নাতে যাবে। যঈফ, ইবনু মাজাহ(১৮৫৪)
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার
আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলমান হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে অতি উত্তম। হাসান সহীহ্, সহীহা (২৮৪) সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। তোমাদের নিকট তারা বন্দীর মত। তাছাড়া তোমাদের আর কোন অধিকার নেই তাদের উপর, কিন্তু তারা যদি সুস্পষ্ট চরিত্রহীনতায় লিপ্ত হয় (তবে ভিন্ন কথা)। তারা যদি তাই করে তাহলে তাদের বিছনাকে আলাদা করে দাও এবং সামান্য প্রহার কর, মারাত্মক প্রহার নয়। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তাহলে তাদেরকে নির্যাতনের অজুহাত খুঁজতে যেও না। জেনে রাখ! তোমাদের যেমন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি অধিকার আছে, তাদেরও তোমাদের প্রতি ঠিক সেরকমই অধিকার আছে। তাদের প্রতি তোমাদের অধিকার এই যে, তোমরা যাদেরকে পছন্দ কর না তারা যেন সেসব লোককে দিয়ে তোমাদের বিছানা পদদলিত না করায় এবং যেসব লোককে তোমরা মন্দ বলে জান তাদেরকে যেন অন্দর মহলে ঢুকার অনুমতি না দেয়। জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে।
গুহ্যদ্বারে সংগম করা নিষেধ
আলী ইবনু ত্বালক (রাঃ) তিনি বলেছেন, এক বিদুঈন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন লোক মাঠেঘাটে বা জংগলে থাকে। এ অবস্থায় যদি তার পেট হতে বায়ু বের হয় এবং (তার নিকটে) সামান্য পানি থাকে (তবে সে কি করবে)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কারো বায়ু বের হলে সে যেন ওযূ করে। তোমরা নারীদের পশ্চাৎদ্বারে সহবাস কর না। আল্লাহ্ তা’আলা হক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। যঈফ, মিশকাত (৩১৪, ১০০৬) ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের মলদ্বরে সংগম করে (কিয়ামাতের দিন) আল্লাহ তা'আলা তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। হাসান, মিশকাত (৩১৯৫) আলী ইবনু ত্বালক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ বায়ু ত্যাগ করলে ওযূ করে। তোমরা নারীদের গুহ্যদ্বারে সহবাস কর না। যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (২৬), হাদীসে বণির্ত রাবী আলী, ইনি হলেন আলী ইবনু ত্বালক্ ।
মহিলাদের সাজসজ্জা করে বাড়ির বাইরে যাতায়াত নিষেধ
মাইমূনা বিনতু সা’দ (রাঃ) তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খাদিমা (সেবিকা) ছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ স্বামী ব্যতীত অন্য লোকের সামনে যে নারী সাজগোজ করে আকষর্ণীয় পোশাকে প্রকাশিত হয় সে কিয়ামতের দিনের অন্ধকার সমতুল্য। সেদিন তার জন্য কোন আলোর ব্যবস্থা থাকবে না। যঈফ, যঈফা (১৮০০)
আত্মমর্যাদাবোধ প্রসঙ্গে
আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলার গাইরাত (সূক্ষ্ম আত্মমর্যাদাবোধ) আছে এবং মুমিনেরও গাইরাত আছে। আল্লাহ তা'আলা মু’মিনের জন্য যা হারাম করে দিয়েছেন, সে তাতে লিপ্ত হলে আল্লাহ তা'আলার গাইরাতে আঘাত লাগে। -সহিহ, বুখারি-মুসলিম।
মহিলাদের একাকী সফর করা মাকরূহ
আবূ সা’ঈদ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ও আখিরাতের উপর যে সকল মহিলা ঈমান রাখে, তার সাথে তার পিতা অথবা তার ভাই অথবা তার স্বামী অথবা তার ছেলে অথবা তার কোন মাহরাম আত্মীয় না থাকলে সে সকল মহিলার জন্য তিন দিন বা তার বেশি সময় (একাকী) সফর করা বৈধ নয়। সহীহ্, ইবনু মাজাহ (২৮৯৮), বুখারী, মুসলিম আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মাহরাম আত্মীয় ব্যতীত একাকী যেন কোন মহিলা এক দিন ও এক রাতের দূরত্বও অতিক্রম না করে। -সহিহ, ইবনু মাজাহ (২৮১১), বুখারী, মুসলিম
যার স্বামী অনুপস্থিত তার সাথে দেখা করা নিষেধ
উকবা ইবনু আমির (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! মহিলাদের সাথে তোমরা কেউ অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করবে না। আনসার সম্প্রদায়ের এক লোক বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! দেবর সম্পর্কে আপনার মত কি? তিনি বললেনঃ সে তো মৃত্যু (সমতুল্য)। সহীহ্, গায়াতুল মারাম (১৮১), বুখারী, মুসলিম
(শাইতান প্রবাহিত রক্তের ন্যায় বিচরণ করে)
জাবির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়াসায়াম বলেছেনঃ যাদের স্বামী উপস্থিত নেই, সে সকল মহিলাদের নিকট তোমরা যেও না। কেননা, তোমাদের সকলের মাঝেই শাইতান (প্রবাহিত) রক্তের ন্যায় বিচরণ করে। আমরা বললাম, আপনার মধ্যেও কি। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমার মধ্যেও। কিন্তু আমাকে আল্লাহ তা'আলা সাহায্য করেছেন, তাই আমি নিরাপদ। সহীহ্, এই হাদীসের প্রথম অংশকে পূর্বের হাদীস সমর্থন করে। পূর্ণ হাদীসটি সহীহতে আছে। সহীহ্, আবূ দাউদ (১১৩৩-২১৩৪), তাখরীজু ফিকহিস সীরাহ (৬৫)।
(শাইতান মহিলার দিকে দৃষ্টিপাত করে)
আবদুল্লাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহিলারা হচ্ছে আওরাত (আবরণীয় বস্তু)। সে বাইরে বের হলে শাইতান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। সহীহ্, মিশকাত (৩১০৯), ইরওয়া (২৭৩), তা’লীক আলা ইবনি খুযাইমা (১৬৮৫)
(স্বামীকে কষ্ট দেয়া নিষেধ)
মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পৃথিবীতে কোন স্ত্রীলোক যখনই তার স্বামীকে কষ্ট দেয় তখনই (জন্নাতের) বিস্তৃত চক্ষুবিশিষ্ট হুরদের মধ্যে তার (ভাবী) স্ত্রী বলে, হে অভাগিনী! তাকে কষ্ট দিও না। তোমাকে আল্লাহ তা'আলা যেন ধ্বংস করে দেন! তোমার নিকট তো তিনি কিছু সময়ের মেহমান মাত্র। শীঘ্রই তোমার হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি আমাদের নিকট চলে আসবেন। সহীহ্, ইবনু মাজাহ (২০৪১)