13. বিচার কার্য

【1】

কাযী (বিচারক) প্রসঙ্গে

আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) ১৩২২/১. উসমান (রাঃ) ইবনু উমার (রাঃ)-কে বলেন, যাও! লোকদের মাঝে বিচার-ফায়সালা কর। তিনি বললেন, হে মু’মিনদের নেতা! আমাকে কি মাফ করবেন? তিনি বললেন, এ পদটি তুমি কেন অপছন্দ করছ, অথচ তোমার পিতা বিচার-ফায়সালা করতেন? তিনি উত্তরে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি কাযী (বিচারক) নিযুক্ত হয়ে ইনসাফের উপর বিচার-ফায়সালা করলেও সে বরাবর আমল নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে (না তার কোন গুনাহ আছে আর না তার কোন সাওয়াব আছে। এরপর আমি আর কি আশা করতে পারি? যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩৭৪৩)। তা’লীকুর রাগীব (২/১৩২) তা’লীক আলা আহাদীস মুখতারাহ (৩৪৮,৩৪৯) এ হাদীসের সাথে একটি ঘটনা আছে। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসটি গারীব। আমার মতে এ হাদীসের সনদ পরস্পর সংযুক্ত নয়। কেননা যে আবদুল মালিক হতে মুতামির রিওয়াত করেছেন তিনি হলেন আবদুল মালিক ইবনু আবূ জামীলা। ---------------------- ১৩২২/২. বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাযীগণ তিন প্রকারের হয়ে থাকে। দুই প্রকারের কাযী (বিচারক) হচ্ছে জাহান্নামী এবং এক প্রকার কাযী হচ্ছে জান্নাতী। জেনেশুনে যে লোক (বিচারক) অন্যায় রায় প্রদান করে সে হচ্ছে জাহান্নামী। সত্যকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি না করেই যে লোক (বিচারক) মানুষের অধিকারসমূহ নস্যাৎ করে সে লোকও জাহান্নামী। আর যে লোক ন্যায়সঙ্গতভাবে ফায়সালা প্রদান করে (বিচারক) সে জান্নাতের অধিবাসী। সহীহ্‌, ইরওয়া- (২৬১৪), মিশকাত- (৩৭৩৫) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কাযীর পদ চেয়ে নেয় তার দায়দায়িত্ব তার উপরই চাপিয়ে দেয়া হয়। আর যাকে এই পদ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয় আল্লাহ তা'আলা তার নিকট একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন যিনি তাকে ইনসাফের পথে থাকতে সহযোগীতা করেন। যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৩০৯) আনাস (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি বিচারকের পদ চায় এবং অন্যদের দিয়ে তার জন্য সুপারিশ করায়, তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দেয়া হয় (এবং আল্লাহ্ তা‘আলার সাহায্য হতে বঞ্চিত করা হয়)। আর যাকে জোর করে এ পদে বসানো হয়, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন, যিনি তাকে ইনসাফের পথে অনুপ্রাণিত করেন। যঈফ, প্রাগুক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিচারের দায়িত্ব গ্রহণ করল অথবা জনগণের বিচারক হিসেবে যে লোককে নিয়োগ করা হল তাকে যেন ছুরি ছাড়াই যবেহ করা হল। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩০৮)

【2】

বিচারকের নির্ভুল অথবা ভুল সিদ্ধান্তে পৌছার সম্ভাবনা আছে

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিচারক যখন ফায়সালা করে এবং ইজতিহাদ করে (চিন্তা ভাবনা করে সত্যে পৌছার চেষ্টা করে), তারপর সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছে যায়, তার জন্য দুইটি পুরস্কার রয়েছে। আর ফায়সালা করতে গিয়ে সে যদি ভুল করে ফেলে তবুও তার জন্য একটি পুরস্কার আছে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩১৪), নাসা-ঈ

【3】

বিচারক কিভাবে ফায়সালা করবে

মুআয (রাঃ)-এর সঙ্গীগণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুআয (রাঃ)-কে ইয়ামানে পাঠান। তিনি প্রশ্ন করেনঃ তুমি কিভাবে বিচার করবে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহ তা‘আলার কিতাব অনুসারে বিচার করব। তিনি বললেনঃ যদি আল্লাহ্‌ তা‘আলার কিতাবে পাওয়া না যায়? তিনি বললেন, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত (হাদীস) অনুসারে বিচার করব। তিনি বললেনঃ যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতেও না পাও? তিনি বললেন, আমার জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে ইজতিহাদ করব। তিনি বললেনঃ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহ্ তা'আলার জন্য যিনি আল্লাহর রাসূলের প্রতিনিধিকে এইরূপ যোগ্যতা দান করেছেন। যঈফ, যঈফা (৮৮১) মুআয (রাঃ) মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্‌শার স্বীয় সনদে মুআয (রাঃ) হতে হান্নাদের হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। -দেখুন পূর্বের হাদীস।

【4】

ন্যায়নিষ্ঠ ইমাম (শাসক)

আবূ সাঈদ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন লোকদের মাঝে ন্যায়নিষ্ঠ শাসকই আল্লাহ তা‘আলার সবচাইতে প্রিয় ও নিকটে উপবেশনকারী হবে। তাদের মাঝে যালিম শাসকই আল্লাহ তা‘আলার সবচাইতে ঘৃণিত এবং তার নিকট হতে সবচেয়ে দূরে অবস্থানকারী হবে। যঈফ, রাওয (২/৩৫৬-৩৫৭), যঈফা (১১৫৬) মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩৭০৪) ইবনু আবী আওফা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে পর্যন্ত বিচারক কোন প্রকার যুলুম না করে সে পর্যন্ত আল্লাহ্ তা'আলা তার সহায়তা করেন। সে যে মুহুর্তে কোন প্রকার যুলুম করে ফেলে তখন তিনি তাকে পরিত্যাগ করেন এবং শাইতান তাকে জড়িয়ে ধরে। হাসান, ইবনু মা-জাহ- (২৩১২)

【5】

বিচারক বাদী ও বিবাদীর জবানবন্দী না শুনে রায় প্রদান করবে না

আলী (রাঃ) তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার নিকট যখন দুইজন লোক বিচারের জন্য আবেদন করে তখন দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য তুমি সম্পূর্ণভাবে না শুনেই প্রথম পক্ষের কথার উপর নির্ভর করে রায় প্রদান করো না। তুমি খুব শীঘ্রই জানতে পারবে, তুমি কিভাবে ফায়সালা করছ। আলী (রাঃ) বলেন, তারপর আমি বিচারক হিসাবেই রয়ে গেছি। হাসান, ইরওয়া (২৬০০)

【6】

জনগণের নেতা

আমর ইবনু মুররা (রাঃ) মুআবিয়া (রাঃ)-কে আমর ইবনু মুররা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে আমি বলতে শুনেছিঃ গরীব-মিসকীন ও নিজ প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে আগমনকারী লোকের জন্য যে নেতা নিজের দরজাকে বন্ধ করে রাখে, এ ধরণের লোকের দারিদ্র্য, অভাব ও প্রয়োজনের সময় আল্লাহ তা'আলাও আকাশের দরজা বন্ধ করে রাখবেন। মুআবিয়া (রাঃ) একথা শুনার পর থেকে এক লোককে মানুষের প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে নিযুক্ত করেন। সহীহ্‌, মিশকাত তাহকীক ছানী- (৩৭২৮), সহীহ্‌- (৬২৯), সহীহ্‌ আবূ দাউদ- (২৬১৪) আলী ইবনু হুজর ইয়াহইয়া ইবনু হামযা তিনি ইয়াযিদ ইবনু আবী মারইয়াম হতে, তিনি আলকাসিম ইবনু মুখাইমিরাহ তিনি রাসূলের সাহাবী আবূ মারইয়াম হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোক্ত হাদীসের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইয়াযীদ ইবনু আবূ মারইয়াম ছিলেন সিরিয়ার অধিবাসী এবং বুরাইদ ইবনু আবূ মারইয়াম ছিলেন কূফার অধিবাসী। আবূ মারইয়ামের নাম আমর ইবনু মুররা আলজুহানী।

【7】

বিচারক কখনো উত্তেজিত হয়ে বিচারকার্য করবেন না

আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বাকরা (রাঃ) তিনি বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ বাক্‌রা একজন বিচারক ছিলেন। আমার আব্বা তাকে লিখে পাঠালেন, তুমি উত্তেজিত অবস্থায় কখনো দুই পক্ষের মধ্যে বিচারকার্য সমাধা করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি বলতে শুনেছিঃ বিচারক রাগের অবস্থায় যেন দুই পক্ষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা না করে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩১৬), নাসা-ঈ

【8】

সরকারী কর্মচারীদের উপটৌকন গ্রহণ

মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ইয়ামানে পাঠান। আমি রাওনা হলে তিনি আমার পিছনে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে আমাকে ফিরিয়ে আনলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি বুঝেছো আমি তোমাকে ডাকার জন্য কেন লোক পাঠালাম? তিনি বললেন, আমার অনুমতি ব্যতীত তুমি (লোকদের নিকট হতে উপহার হিসেবে) কিছু নিবে না। কেননা এটা আত্মসাৎ। যে ব্যক্তি আত্মসাৎ করবে সে কিয়ামাতের দিন আত্মসাতের মালসহ হাযির হবে। আমি তোমাকে এটা জানাবার উদ্দেশ্যে ডেকেছি। এখন নিজের কাজে রাওনা হয়ে যাও। সনদ দুর্বল। এ অনুচ্ছেদে আদী ইবনু আমীরাহ বুরাইদা, মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ, আবূ হুমাইদ ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, মুয়ায় (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি গারীব। আবূ উসামা হতে দাঊদ আল-আওদীর সূত্রেই শুধু আমরা এ হাদীস জেনেছি।

【9】

বিচারকার্যে ঘুষখোর ও ঘুষদাতা

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, বিচারের ক্ষেত্রে ঘুষখোর ও ঘুষ প্রদানকারীকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩১৩) আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) তিনি বলেন, ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারী দুজনকেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ্‌, প্রাগুক্ত

【10】

উপহার নেওয়া ও দাওয়াতে যোগদান করা

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বকরীর পায়ের একটি খুরও যদি আমাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়, আমি সেটা অবশ্যই গ্রহণ করব। আমাকে যদি তা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয় তবে আমি তাতে সাড়া দিব। সহীহ্‌, সহীহুল জা-মি’ মুখতাসার শামা-ইলুল মুহাম্মাদিয়া (২৯০), বুখারী

【11】

কোন লোককে যদি বিচারের রায়ে (ভুলক্রমে) এমন জিনিস প্রদান করা হয় যা (প্রকৃতপক্ষে) নেওয়া তার উচিত নয়, সেই প্রসঙ্গে সতর্কবাণী

উন্মু সালামা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নিকট ঝগড়া বিবাদ সমাধানের উদ্দেশ্যে এসে থাক। আমিও একজন মানুষ। হয়ত তোমাদের কোন লোক অন্য কারো তুলনায় (নিজের যুক্তি-প্রমাণ পেশে) অত্যন্ত বাকপটু হয়ে থাকবে। সুতরাং আমি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তির অনুকূলে তার ভাইয়ের প্রাপ্য কোন অংশ দিয়ে দিতে পারি। এরকম পরিস্থিতিতে আমি যেন তার জন্য জাহান্নামের একটি টুকরাই তাকে দিয়ে দিচ্ছি। অতএব সে যেন (আসল বিষয় জানা থাকলে) এর কোন কিছুই গ্রহন না করে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩১৭), মুসলিম

【12】

বাদীর দায়িত্ব হচ্ছে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাযির করা এবং বিবাদীর দায়িত্ব হচ্ছে শপথ করা

আলকামা ইবনু ওয়াইল (রাঃ) হতে তার বাবা তিনি বলেন, হাযরামাওত এলাকার একজন লোক এবং কিন্‌দার একজন লোক এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম )-এর নিকট হাযির হল। হাযরামী বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার অল্পকিছু জমি জোরপূর্বক এই লোক দখল করে নিয়েছে। কিন্‌দী বলল, সেটা আমার জমি, আমার দখলেই আছে, সেটাতে তার কোন মালিকানা নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাযরামীকে বললেনঃ তোমার কাছে কোন প্রকারের সাক্ষী-প্রমাণ আছে কি? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমাকে তার শপথের উপর নির্ভর করতে হবে। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এ লোকটি তো বদমাইশ, যে কোন ব্যাপারে শপথ করতে তার কোন দ্বিধা নেই, কোন কিছুতেই তার ভীতি-বিহবলতা নেই। তিনি বললেনঃ এটা ব্যতীত তোমার আর কোন উপায় নেই। বর্ণনাকারী বলেন, কিন্‌দী শপথের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি অন্যায়ভাবে তার সম্পদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সে মিথ্যা শপথ করে তবে সে এমনভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তার হতে (অসন্তোষে) মুখ সরিয়ে নিবেন। সহীহ্, ইরওয়া (২৬৩২), মুসলিম আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এক ভাষণে বলেছেনঃ বাদীর দায়িত্ব হচ্ছে সাক্ষী-প্রমাণ হাজির করা এবং বিবাদীর দায়িত্ব হচ্ছে শপথ করা। সহীহ্‌, ইরওয়া- (৮/২৬৫-২৬৭) ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকম রায় প্রদান করেছেন যে, বিবাদীকে শপথ করতে হবে। সহীহ্‌, ইরওয়া- (২৬৪১), নাসা-ঈ

【13】

সাক্ষীর সাথে সাথে শপথও করানো

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, একজন সাক্ষী ও শপথের উপর নির্ভর করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রায় প্রদান করেছেন। সহীহ্‌, ইরওয়া- (৮/৩০০-৩০৫), তানকীল- (২/১৫৬), রাওজুননাজীর- (৯৮৬), মুসলিম জাবির (রাঃ) একজন সাক্ষী ও শপথের উপর নির্ভর করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোকদ্দমার সমাধান করেছেন। সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস জাফর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হতে তার বাবা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন সাক্ষীর সাথে (তাকে) শপথের উপর নির্ভর করে মোকদ্দমার সমাধান করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তোমাদের মাঝে আলী (রাঃ)-ও এরকমভাবেই মোকদ্দমার সমাধান করেছেন। সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস

【14】

একটি গোলামের দুইজন অংশীদারের মধ্যে একজন তার নিজের অংশ মুক্ত করে দিলে

ইবনু উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শরীকানা গোলামের মালিকদের কোন মালিক যদি নিজের প্রাপ্য অংশকে মুক্ত করে দেয় এবং তার নিকট গোলামের ন্যায়সংগত মূল্যের সমপরিমাণ সম্পদ থাকে সে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যাবে, অন্যথায় সে যেটুকু পরিমাণ মুক্ত করেছে সেটুকু পরিমাণই স্বাধীন হবে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৫২৮), নাসা-ঈ সালিম (রহঃ) হতে তার বাবা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শরীকানা গোলামের ক্ষেত্রে কোন লোক তার নিজের অংশকে মুক্ত করে দিলে এবং তার নিকট গোলামটির মূল্যের সমপরিমাণ মাল থাকলে সে তার (মুক্তকারী মালিকের) মালের সাহায্যে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে যাবে। সহীহ্‌ প্রাগুক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন শরীকানা গোলামের ক্ষেত্রে কোন লোক তার নিজের অংশকে মুক্ত করলে তাকে তার বাকি অংশটুকুও মুক্ত করে দিতে হবে- তার যদি সেরকম আর্থিক সামর্থ থাকে। তার আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে তবে ইনসাফের ভিত্তিতে তার ন্যায্য মূল্য ঠিক করতে হবে। তারপর সে যতটুকু পরিমাণে মুক্ত হতে পারেনি সেটুকু পরিমাণ মূল্য (কায়িক শ্রমের মাধ্যমে) পরিশোধের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু তাকে দিয়ে সামর্থ্যের বেশি কষ্টদায়ক কাজ করানো যাবে না। সহীহ্‌, প্রাগুক্ত ইবনু মা-জাহ- (২৫২৭), নাসা-ঈ

【15】

উমরা (জীবনস্বত্ব) প্রদান

সামুরা (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেনঃ জীবন-স্বত্ব প্রদান করা (আজীবনের জন্য কিছু দান করা) জায়িয, যে লোককে এটা প্রদান করা হবে তার জন্য অথবা (তিনি বলেন) তা তার উত্তরাধিকারগণের জন্য উত্তরাধিকার স্বত্ব হিসাবে গণ্য। সহীহ্‌, মুসলিম- (৫/৬৯,৭০), জাবির ও আবূ হুরায়রা হতে। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোককে জীবন-স্বত্ব প্রদান করা হলে সেটা তার এবং তার উত্তরাধিকারীদের জন্য। যে লোককে তা প্রদান করা হয়েছে উহা তার জন্যই, তা দাতার দিকে ফিরে আসবে না। কেননা সে এমন দান করেছে যার উপর দান গ্রহীতার উত্তরাধিকার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৮০), মুসলিম

【16】

রুকবার বর্ণনা

জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে জীবন-স্বত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা তার জন্য হালাল। যে ব্যক্তিকে রুকবা দেওয়া হয়েছে সেটা তার জন্য হালাল। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৮৩), মুসলিম

【17】

লোকদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা বা সন্ধি স্থাপন প্রসঙ্গে

কাসীর ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আওফ (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৫৩)

【18】

যে লোক তার প্রতিবেশীর দেয়ালের সাথে (নিজ ঘরের) কড়িকাঠ স্থাপন করে

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কোন লোকের নিকট যদি তার প্রতিবেশী তার (ঘরের) দেয়ালের সাথে কড়িকাঠ স্থাপনের সম্মতি চায় তবে সে যেন তাকে বারণ না করে। এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করলে লোকেরা তাদের মাথা অবনমিত করে। তিনি তখন বললেন, কি ব্যাপার! আমি তোমাদেরকে এ হতে বিমুখ হতে দেখছি কেন? আল্লাহর শপথ! আমি তা তোমাদের কাঁধের উপর ছুঁড়ে মারবো। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৩৫), নাসা-ঈ

【19】

শপথ হতে হবে প্রতিপক্ষের মনে প্রত্যয় সৃষ্টিকর

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এরকমভাবে শপথ করতে হবে যাতে করে তোমার সাথী (প্রতিপক্ষ) তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২১২১), মুসলিম

【20】

রাস্তা বানানোর ক্ষেত্রে (এর প্রশস্ততার পরিমাণ নিয়ে মতের অমিল হলে)

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাত হাত প্রশস্ত করে রাস্তা তৈরী কর। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৩৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাস্তার ব্যাপারে তোমাদের মতভেদ হলে তা সাত হাত পরিমাণ (প্রশস্ত) কর। সহীহ্‌- (২৪৭৩), বুখারী

【21】

বাবা-মার মধ্যে (বিবাহ) বিচ্ছেদ হলে সন্তানকে তাদের যে কোন একজনকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা প্রদান

আবূ হুরাইরা (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি ছেলেকে তার আব্বা ও আম্মা উভয়ের যে কোন একজনকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা প্রদান করেন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২৩৫১)

【22】

বাবা তার সন্তানের সম্পদ হতে নিতে পারে

আয়শা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের নিজেদের উপার্জনই সর্বোত্তম জীবিকা। তোমাদের সন্তানগণও তোমাদের নিজস্ব উপার্জন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২১৩৭)

【23】

কোন লোক অন্যের জিনিস ভেঙ্গে ফেললে তার ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত বিধান

আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর একজন স্ত্রী তাকে একটি বাটিতে কিছু খাবার পাঠান। আয়শা (রাঃ) নিজের হাত দিয়ে বাটিতে আঘাত করে খাবারগুলো ফেলে দেন এবং বাটিও ভেঙ্গে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ খাদ্যের জন্য খাবার এবং বাটির জন্য একটি বাটি প্রদান করতে হবে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৩৪) আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বাটি ধার করে এনেছিলেন। তারপর সেটা ভেঙ্গে গেল (অথবা হারিয়ে গেল)। তিনি বাটির মালিককে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। সনদ খুবই দুর্বল

【24】

ছেলে-মেয়েদের বালেগ হওয়ার বয়স

ইবনু উমার (রাঃ) তিনি বলেন, আমাকে কোন এক সামরিক অভিযানে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে হাযির করা হয়। তখন আমার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। তিনি আমাকে (সৈনিক হিসাবে) গ্রহণ করেননি। এর পরের বছর এক সামরিক অভিযানে যাওয়ার সময় আমাকে আবার তার সামনে হাযির করা হয়। তখন আমার বয়স ছিল পনের বছর। এবার তিনি আমাকে সেনাবাহিনীতে নিয়ে নিলেন। নাফি (রহঃ) বলেন, আমি এ হাদীসটি উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেনঃ এটাই হল নাবালেগ ও বালেগের মধ্যকার বয়সসীমা। তারপর তিনি লিখিত নির্দেশ প্রদান করলেন- যে পনের বছর বয়সে পৌঁছেছে তার ভাতা নির্ধারণের জন্য। সহীহ্‌ বুখারী- (২৬৬৪, ৬/৩০)

【25】

সৎমাকে বিয়ে করলে (তার শাস্তি)

বারাআ (রাঃ) তিনি বলেন, আমার মামা আবূ বুরদা (রাঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার হাতে একটি পতাকা ছিল। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, কোথায় যাচ্ছেন। তিনি বললেন, এক লোক তার বাবার স্ত্রীকে (সৎমাকে) বিয়ে করেছে। আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠিয়েছেন তার মাথা কেটে তার নিকট আনার জন্য। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৬০৭)

【26】

দুই ব্যক্তি প্রসঙ্গে, যাদের একজনের ভূমি পানি প্রবাহের নিম্নদিকে অবস্থিত

উরওয়া (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) তাকে বলেছেন, হাররা হতে বয়ে আসা নালার পানির বন্টনকে কেন্দ্র করে যুবাইর (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে একজন আনসার (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করে। এ নালার পানি তারা খেজুর বাগানেও সিঞ্চন করতেন। আনসারী দাবি করল, পানি প্রবাহিত হতে দাও। কিন্তু যুবাইর (রাঃ) তা অস্বীকার করেন। তারা এই বিবাদকে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে উপস্থাপন করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইর (রাঃ)-কে বললেনঃ হে যুবাইর! তোমার ক্ষেতে পানি প্রবাহিত কর, তারপর তোমার প্রতিবেশীর ক্ষেতের দিকে তা প্রবাহিত হতে দাও। আনসারী এতে ক্রোধাৰিত হয়ে বলল, আপনার ফুফাত ভাই তো ! এ কথায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখমণ্ডল রক্তিমবর্ণ ধারণ করল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তোমার ক্ষেতে পানি প্রবাহিত কর, তারপর তা আটক করে রাখ-যাতে তা আইল পর্যন্ত উঠতে পারে। যুবাইর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে হয় এপ্রসঙ্গেই নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছেঃ “না, হে মুহাম্মাদ! তোমার প্রতিপালকের শপথ! এরা কোন অবস্থাতেই ঈমানদার হতে পারে না, যে পর্যন্ত না তাদের পারস্পরিক মতভেদের ব্যাপারসমূহে তোমাকে বিচারকরূপে মেনে না নিবে। তারপর তুমি যে ফায়সালাই করবে তার প্রসঙ্গে তারা নিজেদের মনে কিছুমাত্র কুষ্ঠাবোধ করবে না; বরং নিজেদেরকে এর সামনে সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করবে" (সূরাঃ নিসা-৬৫)। সহীহ্‌ নাসা-ঈ

【27】

যে ব্যক্তির গোলাম ব্যতীত আর কোন সম্পদ নেই সে মারা যাবার সময় তাদেরকে মুক্ত করে দিলে

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) আনসার বংশের একজন লোক মারা যাওয়ার সময় তার ছয়টি গোলামই মুক্ত করে দিল। তার নিকটে এরা ব্যতীত আর কোন সম্পদ ছিল না। এ খবর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট পৌছানোর পর তিনি তার প্রসঙ্গে কঠোর মন্তব্য করেন। তিনি তারপর গোলামদের ডেকে পাঠালেন এবং তাদেরকে (তিন) ভাগ করে তাদের মধ্যে লটারী করলেন। তিনি সে মোতাবিক দুইজনকে মুক্ত করে দিলেন এবং বাকি চারজনকে গোলাম হিসারে রেখে দিলেন। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৪৫), মুসলিম

【28】

মাহ্‌রাম আত্মীয়ের (ক্রীতদাস সূত্রে) মালিক হলে

সামুরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যদি তার কোন মাহ্‌রাম আত্মীয়ের মালিক হয় তাহলে সে (দাসত্ব হতে) স্বয়ং স্বাধীন হয়ে যাবে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৫২৪)

【29】

অনুমতি না নেওয়া অবস্থায় কোন সম্প্রদায়ের জমি চাষাবাদ করলে

রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন সম্প্রদায়ের জমিতে যদি কোন লোক তাদের বিনা অনুমতিতে কৃষিকাজ করে তাহলে সে ফসলের কোন অংশ পাবে না, শুধুমাত্র চাষাবাদের খরচ পাবে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৪৬৬)

【30】

দান বা উপহার এবং সন্তানদের মাঝে সমতা বজায় রাখা

নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) তার আব্বা তার এক ছেলেকে একটি গোলাম প্রদান করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এর সাক্ষী করার উদ্দেশ্যে তার নিকট আসেন। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার এই সন্তানকে যা দিয়েছ, তোমার অন্য সন্তানদেরকেও কি তা দিয়েছ তিনি বললেন, না। তিনি (রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেনঃ এই দান ফিরিয়ে নাও। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৭৫, ২৩৭৬), নাসা-ঈ

【31】

শুফআ (অগ্র-ক্রয়াধিকার)

সামুরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাড়ীর প্রতিবেশী উক্ত বাড়ীর (ক্রয় করার ক্ষেত্রে) প্রাধান্য পাবে। সহীহ্‌, ইরওয়া- (১৫৩৯)

【32】

অনুপস্থিত লোকেরও শুফআর অধিকার আছে

জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিবেশী তার শুফআর ক্ষেত্রে বেশি হকদার। সে অনুপস্থিত থাকলে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে-যদি উভয়ের যাতায়াতের একই রাস্তা হয়। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৪৯৪)

【33】

জমির সীমানা নির্ধারিত এবং বন্টিত হওয়ার পর শুফআর অধিকার থাকে না

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায় এবং রাস্তা আলাদা হয়ে যায় তখন শুফআর আর কোন অধিকার থাকে না। সহীহ্‌ ইবনু মা-জাহ- (৩৪৯৯), বুখারী

【34】

অংশীদার শুফআর অধিকারী

ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শারীক শুফআর অধিকারী। প্রতিটা জিনিসেই শুফআ আছে। -মুনকার, যঈফা (১০০৯, ১০১০)

【35】

লুকতা (হারানো বস্তু) এবং হারানো উট ও ছাগল ইত্যাদি প্রসঙ্গে

যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) এক লোক হারিয়ে যাওয়া জিনিস কুড়িয়ে পাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেনঃ এর ঘোষণা প্রদান করতে থাক এক বছর না হওয়া পর্যন্ত। তারপর তুমি এর ফিতা, থলে ও চামড়ার বাক্স এবং এর সংখ্যা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে রাখ। তারপর তুমি তা খরচ কর। এর মালিক যদি পরবর্তী কালে চলে আসে তাহলে এটা তাকে ফিরত দিয়ে দিও। লোকটি আবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল। হারিয়ে যাওয়া মেষের ক্ষেত্রে কি বিধান রয়েছে? তিনি বললেনঃ এটা ধরে রাখবে। কারণ এটা তোমার অথবা তোমার ভাইয়ের অথবা নেকড়ে বাঘের। সে আবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল। হারানো উটের ক্ষেত্রে কি বিধান রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তেজিত হলেন, এমনকি তার দুই গাল বা মুখমণ্ডল রক্তিমবর্ণ ধারণ করল। তিনি বললেনঃ এতে তোমার মাথা ঘামানোর কি প্রয়োজন। এর সাথে এর খুর এবং পানীয় আছে, অবশেষে এটা (ঘুরতে ঘুরতে) তার মালিকের সাথে গিয়ে মিলিত হবে। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৫০৪), নাসা-ঈ যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) কোন হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি সনাক্তকারী কোন লোক পাওয়া যায় তাহলে তাকে তা ফিরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখ এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার কর। তারপর মালিক এসে গেলে এটা তাকে ফিরিয়ে দিও। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৫০৭), নাসা-ঈ সুয়াইদ ইবনু গাফালাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমি কোন এক সময়ে যাইদ ইবনু সূহান ও সালমান ইবনু রাবীআর সাথে যাত্রা করলাম। আমি রাস্তার মধ্যে একটি চামড়ার থলে পেলাম। ইবনু নুমাইরের বর্ণনায় আছেঃ রাস্তাতে পড়ে থাকা একটি চামড়ার থলে তুলে নিলাম। তারা উভয়ে বললেন, এটা রেখে দাও। আমি বললাম, হিংস্র জন্তুর খাবারের উদ্দেশ্যে আমি এটাকে হাতছাড়া করব না। অবশ্যই আমি এটাকে সাথে নিব এবং নিজের কাজে প্রয়োগ করব। তারপর আমি উবাই ইবনু কা'ব (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি এ প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করলাম এবং ঘটনাটি খুলে বললাম। তিনি বললেন, তুমি ভালই করেছ। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আমলে একশত দীনারের একটি থলে পেয়েছিলাম। আমি সেটা সাথে নিয়ে তার কাছে এলে তিনি আমাকে বলেনঃ এটার পরিচয় সহকারে এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাক। আমি এক বছর পর্যন্ত এর জন্য ঘোষণা দিলাম, কিন্তু এর কোন সনাক্তকারী খুঁজে পাইনি। আমি তার নিকট আবার থলেটিকে আনলে তিনি বললেনঃ আরো এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাক। আমি আরো এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা প্রদান করলাম। তারপর আমি তার নিকট আসলে তিনি বললেনঃ আরো এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাক। (ঘোষণার সময় পেরিয়ে গেলে) তিনি বললেনঃ মুদ্রার সংখ্যা, থলে এবং এর মুখের বাঁধন সঠিকভাবে চিনে রাখ। যখন এর খোঁজকারী এসে তোমাকে দীনারের সংখ্যা এবং এর থলে ও মুখের বন্ধন সম্বন্ধে পরিচয় দিবে তখন এটা তাকে ফিরিয়ে দিবে। এরপরও যদি মালিক না পাওয়া যায় তাহলে তবে তুমি এটা নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগিয়ে দাও। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৫০৬), নাসা-ঈ

【36】

ওয়াক্‌ফ প্রসঙ্গে

ইবনু উমার (রাঃ) তিনি বলেন, উমার (রাঃ) খাইবারের (গানীমাত হতে) এক খণ্ড জমি পেয়েছিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্ রাসূল! আমি খাইবার এলাকাতে এমন এক খণ্ড জমি পেয়েছি যার তুলনায় উত্তম সম্পদ আমি আর কখনো লাভ করিনি। (এ প্রসঙ্গে) আমাকে আপনি কি আদেশ করেন। তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে মূল অংশ ঠিক রেখে লাভের অংশ দান-খাইরাত করতে পার। সুতরাং উমার (রাঃ) জমিটা এভাবে ওয়াক্‌ফ করলেন : মূল জমিখণ্ড বিক্রয় করা যাবে না, হেবাও করা যাবে না এবং উত্তরাধিকারদের মধ্যেও ভাগ-বাটোয়ারা হবে না। সেটার আয় হতে ফকীর-মিসকীন, আত্মীয়-স্বজন, ক্রীতদাস মুক্তকরণ, আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদে), পথিক-মুসাফির এবং মেহমানদের খরচের জন্য ব্যয় করা হবে। যে লোক এর মুতাওয়াল্লী হবে সে ন্যায্যভাবে এর আয় হতে ভোগ করতে পারবে এবং বন্ধু-বান্ধবদেরকেও খাওয়াতে পারবে, কিন্তু জমা করে রাখতে পারবে না। (অধঃস্তন) বর্ণনাকারী বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনু সীরীনের নিকট এ হাদীসটি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, মুতাওয়াল্লী সম্পদশালী হওয়ার লক্ষ্যে এই ওয়াক্‌ফ মালের আয় জমা করে রাখতে পারবে না। সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ- (২৩৯৬), নাসা-ঈ আবূ হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে তার কাজ (কাজের সকল ক্ষমতা) ছিন্ন (বাতিল) হয়ে যায়, কিন্তু তিনটি কাজের (সাওয়াব লাভ) বাতিল হয় নাঃ সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং এমন সন্তান যে তার জন্য দুআ করে। সহীহ্‌, আহকামুল জানায়িজ- (১৭৬), ইরওয়া- (১৯৮০), মুসলিম

【37】

চতুষ্পদ জন্তু কোন লোককে আহত করলে এর কোন ক্ষতিপূরণ নেই

আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জন্তুর আঘাতে দণ্ড নেই, কূপে পড়াতে দণ্ড নেই, খনিতে দণ্ড নেই এবং রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ (যাকাত) ধার্য হবে। সহীহ্‌ ইবনু মা-জাহ- (২৫০৯, ২৬৭৩), নাসা-ঈ

【38】

পড়ে থাকা জমিকে চাষাবাদযোগ্য করা

সাঈদ ইবনু যাইদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পড়ে থাকা জমিকে (মালিকানাহীন জমিকে) যদি কোন লোক চাষাবাদযোগ্য করে তুলে তাহলে সে তার মালিক হবে। জবরদখলকারীর পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই। সহীহ্‌, ইরওয়া- (১৫২০) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পড়ে থাকা (মালিকানাহীন) জমিকে যদি কোন লোক আবাদ করে তাহলে সে তার মালিক হবে। সহীহ্‌ ইরওয়া- (১৫৫০)

【39】

জায়গীর (দান বা পুরুস্কার স্বরূপ) মঞ্জুরী প্রসঙ্গে

আব্‌ইয়ায ইবনু হাম্মাল (রাঃ) তিনি নিজ বংশের প্রতিনিধি হয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামে)-এর নিকট এসে তাদেরকে লবণ খনি প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন। তিনি তাকে সেটা দান করেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় মজলিসের এক লোক বলেন, আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, তাকে কি জায়গীর দিয়েছেন? আপনি প্রস্রবণের অফুরন্ত পানি (প্রচুর লবণ) তাকে প্রদান করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এটাকে তার নিকট হতে ফিরিয়ে নিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (আব্‌ইয়ায) আরাক' গাছের কোন জমি রক্ষিত করা যায় কি, এবিষয়েও তার নিকট জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেনঃ উটের ক্ষুর যার নাগাল পায় না (অর্থাৎ পশু চারণভূমি ও বসতি এলাকা হতে দূরের জায়গা)। হাসান, ইবনু মা-জাহ- (২৪৭৫) আলকামা ইবনু ওয়াইল (রহঃ) হতে তার বাবা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জায়গীর হিসাবে হাযরামাওতের এক খণ্ড জমি দান করেন। মাহমূদ বলেন, আমাদেরকে নাযর শুবার সূত্রে এ হাদীসটি শুনিয়েছেন। তিনি (শুবা) তার বর্ণনায় আরো উল্লেখ করেছেনঃ জমি নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য তিনি তার সাথে মুআবিয়া (রাঃ)-কে প্রেরণ করেন। সহীহ্‌ , তা’লীক আলা রাওযাতিন নাদীয়াহ (২/১৩৭)

【40】

গাছ লাগানোর ফাযিলাত

আনাস (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম লোক বৃক্ষ রোপণ করলে অথবা কৃষিকাজ করলে এবং তা হতে মানুষ অথবা পশু-পাখি খেয়ে নিলে সেটা তার জন্য দান-খয়রাত হিসেবে বিবেচিত হবে। সহীহ্‌, সহীহাহ- (৭), নাসা-ঈ

【41】

ভাগচাষ বা বর্গা প্রথা প্রসঙ্গে

ইবনু উমার (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উৎপাদিত ফল অথবা শস্যের অর্ধেক প্রদানের চুক্তিতে খাইবারের জনগণকে কৃষিকাজে নিয়োগ করেছিলেন। সহীহ্‌ ইবনু মা-জাহ- (২৪৬৭), নাসা-ঈ

【42】

(জমি ভাগচাষে দেওয়া অথবা নগদ মূল্যে বিক্রয় জায়িয কিন্তু নিঃস্বার্থভাবে চাষ করতে দেওয়া উত্তম)

রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এমন একটি কাজ হতে বিরত থাকতে বলেন, যা ছিল আমাদের জন্য খুবই লাভজনক। তা হলঃ আমাদের কারো জমি থাকলে তা উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ দেওয়ার বিনিময়ে অথবা নগদ মূল্যে (কাউকে) চাষ করতে দেওয়া। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কারো উদ্ধৃত্ত জমি থাকলে সে যেন তার ভাইকে তা ধার দেয় অথবা নিজে চাষ করে। সহীহ্‌, “নগদ মূল্যে" অংশটুকু শাজ। ইরওয়া- (৫/২৯৮-৩০০), গাইয়াতুল মারাম- (৩৫৫) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্গাচাষ প্রথাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হারাম করেননি। বরং তিনি পরস্পরকে পরস্পরের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সহীহ্‌ মুসলিম (৫/২৫)