9. বিবাহ
বিয়ের ফযিলত এবং এজন্য উৎসাহ দেয়া
আবূ আয়্যূব আল-আনসারী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চারটি জিনিস নাবীদের চিরাচরিত সুন্নাত। লজ্জা-শরম, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা এবং বিয়ে করা। যঈফ, মিশকাত (৩৮২), ইরওয়া (৭৫) আর রাদ্দুআলা আল-কাত্তানী পৃঃ ১২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমরা বের হলাম। আমরা ছিলাম যুবক। (বিয়ের খরচ বহনের) আমাদের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। তিনি বললেনঃ হে যুব সমাজ। তোমাদের বিয়ে করা উচিত। কেননা, এটা দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সুরক্ষিত রাখে। আর তোমাদের যে লোকের বিয়ের সামর্থ্য নেই সে লোক যেন রোযা আদায় করে। কেননা, তার যৌনশক্তিকে এটা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। - সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (১৮৪৫), বুখারী, মুসলিম
বিয়ে না করা বা চিরকুমার থাকা নিষিদ্ধ
সামুরা (রাঃ) (বিয়ে না করে) চিরকুমার থাকতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। যাইদ ইবনু আখযাম (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে আরো আছেঃ এ আয়াতটি কাতাদাহ (রহঃ) পাঠ করেনঃ "আমরা আরো অনেক রাসূলকেই তোমার পূর্বে প্রেরণ করেছি এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান দিয়েছি" (সূরা রা'দ-৩৮)। সহীহ, পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব (রহঃ) সা’দ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ)-এর বিয়ে না করার (চিরকুমারের) প্রস্তাবকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে আমরাও নিজেদেরকে চিরবন্ধা করে নিতাম। সহীহ, বুখারী ও মুসলিম
তোমরা যে ব্যক্তির ধর্মপরায়ণতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট সে ব্যক্তির সাথে বিয়ে দাও
আবু হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যে ব্যক্তির দীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছ তোমাদের নিকট সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সাথে বিয়ে দাও। তা যদি না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। হাসান সহীহ, ইরওয়া (১৮৬৮), সহীহাহ (১০২২), মিশকাত (২৫৭৯) আবূ হাতিম আল-মুযানী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যে লোকের দীনদারী ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা সন্তুষ্ট আছ, তোমাদের নিকট যদি সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তবে তার সাথে (তোমাদের পাত্রীর) বিয়ে দাও। তা না করলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কিছু (ক্রটি) তার মাঝে থাকলেও কি? তিনি বললেনঃ তোমাদের নিকটে যে লোকের দীনশীলতা ও নৈতিক চরিত্র পছন্দ হয় সে লোক তোমাদের নিকট বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সাথে বিয়ে দাও। (বর্ণনাকারী বলেন) একথা তিনি তিনবার বললেন। হাসান, পূর্বের হাদীসের সহায়তায়
মেয়েদেরকে তিনটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়
জাবির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহিলাদেরকে বিয়ে করা হয় তাদের দীনদারী, ধন-সম্পদ ও সৌন্দর্য দেখে। অবশ্যই তুমি দীনদার পাত্রীকে বেশি অগ্রাধিকার দিবে; কল্যাণে তোমার হাত পরিপূর্ণ হবে। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৫৮), বুখারী ও মুসলিম
প্রস্তাবিত পাত্রীকে দেখা
মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) তিনি এক মহিলার নিকট বিয়ের প্রস্তাব প্রেরণ করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে দেখে নাও, তোমাদের মধ্যে এটা ভালবাসার সৃষ্টি করবে। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৬৫)
বিয়ের ঘোষণা করা
মুহাম্মাদ ইবনু হাতিব আল-জুমাহী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দফ বাজানো ও ঘোষণা দেয়া হচ্ছে (বিয়েতে) হালাল ও হারামের পার্থক্য। হাসান, ইবনু মা-জাহ (১৮৯৬) আইশা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বিয়ের ঘোষণা দিবে, বিয়ের কাজ মসজিদে সম্পন্ন করবে এবং এতে ঢোল পিটাবে। বিয়ের ঘোষণা দিবে এই অংশটি ব্যতীত হাদীসটি যঈফ। ইবনু মাজাহ (১৮৯৫) মুআওব্বিয কন্যা রুবাই (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বাসর রাতের সকালে আমার ঘরে এলেন। আমার কাছে তুমি (খালিদ ইবনু যাকওয়ান) যেভাবে বসে আছ, তিনি আমার বিছানায় ঠিক সেভাবে বসলেন। আমাদের বালিকারা এমন সময়ে দফ বাজিয়ে বদরের যুদ্ধের শহীদ হওয়া আমার বাপ-দাদার শোকগাঁথা গাইছিলো। তাদের কোন একজন গাইতে গাইতে বলল, “আমাদের মাঝে একজন নবী আছেন। আগামী কাল কি হবে তা তিনি জানেন।" তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) তাকে বললেনঃ "এরূপ বলা হতে বিরত থাক, বরং তাই বল এতক্ষণ যা বলতেছিলে”। সহীহ, আল আদাব (৯৪)
নব দম্পতিদের জন্য দু'আ
আবু হুরাইরা (রাঃ) যখন কোন লোক বিয়ে করত, তখন তার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দু’আ পাঠ করতেনঃ "বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফিল খাইরি"। অর্থঃ আল্লাহ তা'আলা তোমার জীবন বারকাতময় করুন আর তোমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে একত্রিত করুন। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯০৫)
সহবাসের সময়ে পঠিত দু'আ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন লোক যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে আর তখন (মিলনের পূর্বে) বলে, “বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রাযাকতানা"। তাদেরকে যদি আল্লাহ তা'আলা তাদের এই সহবাসে সন্তান দেয়ার সিদ্ধান্ত করেন, তবে এ সন্তানের কোনরকম ক্ষতিই শাইতান করতে পারে না । সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯১৯), বুখারী
বিয়ে করার উত্তম সময়
আইশা (রাঃ) তিনি বলেন, শাওয়াল মাসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিয়ে করেছেন এবং বাসর রাতও শাওয়াল মাসেই কাটিয়েছেন। শাওয়াল মাসে আইশা (রাঃ) তার পরিবারের মেয়েদের জন্য বাসর উদযাপনের ইচ্ছা করতেন। – সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৯০), মুসলিম
ওয়ালীমার (বৌ-ভাতের) অনুষ্ঠান
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আবদুর রাহমান ইবনু আওফ (রাঃ)-এর গায়ে (বা পোশাকে) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হলুদ রং-এর চিহ্ন দেখে প্রশ্ন করেন। কি ব্যাপার! তিনি বললেন, আমি এক মহিলাকে একটি খেজুর আঁটির অনুরূপ পরিমাণ সোনার বিনিময়ে বিয়ে করেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমায় আল্লাহ তা’আলা বারকাত দিন, ওয়ালীমার আয়োজন কর তা একটি ছাগল দিয়ে হলেও। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯০৭), বুখারী, মুসলিম আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সাফিয়্যা বিনতু হুয়াইকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিয়ে করে ওয়ালীমা অনুষ্ঠান করেন ছাতু ও খেজুর দিয়ে। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯০৯), বুখারী, মুসলিম মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া হুমাইদ হতে, তিনি সুফিয়ান হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। - সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস ইবনু মাসঊদ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিয়ের প্রথম দিনের ভোজের ব্যবস্থা করা আবশ্যকীয়, দ্বিতীয় দিনের ভোজের ব্যবস্থা করা সুন্নাত এবং তৃতীয় দিনের ভোজ হল নাম-ডাক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। যে ব্যক্তি নাম-ডাক ছড়াতে চায়, (কিয়ামাতের দিন) আল্লাহ তা‘আলা তাকে তদ্রূপ (অহংকারী ও মিথ্যুক হিসেবে) প্রকাশ করবেন। যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৯১৫)
দাওয়াত কবুল করা
ইবনু উমার (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দাওয়াত দেওয়া হলে তোমরা তাতে অংশগ্রহণ কর। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯১৪), বুখারী, মুসলিম
যে ব্যক্তি বিবাহভোজে দাওয়াত ছাড়াই হাযির হয়
আবূ মাসউদ (রাঃ) তিনি বলেন, আবূ শুআইৰ নামক একজন লোক তার গোশত বিক্রেতা গোলামের নিকটে এসে বললেন, পাঁচজনের খাবার আমার জন্য বানিয়ে দাও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডলে আমি ক্ষুধার ছাপ দেখতে পেয়েছি। সে খাবার বানানোর পর তিনি লোক পাঠিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাথে বসে থাকা লোকদের দাওয়াত দেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে রাওয়ানা হলে এক লোক তাঁ’দের অনুসরণ করে, দাওয়াত দেওয়ার সময় সে লোকটি তাদের সাথে ছিল না। বাড়ীর দরজায় পৌছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়ীর মালিককে বললেনঃ আরো এক লোক আমাদের পিছে পিছে এসেছে। তুমি আমাদের দাওয়াত দেওয়ার সময় সে আমাদের সাথে ছিল না। তুমি অনুমতি দিলে তবে সে তোমার বাড়ীতে আসবে। আবু শুআইব বললেন, তাকেও আমি অনুমতি দিলাম, সে যেন আসে। সহীহ, বুখারী, মুসলিম
কুমারী মেয়েকে বিয়ে করা
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, এক মহিলাকে বিয়ে করে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে গেলাম। তিনি বললেনঃ হে জাবির। তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ কুমারী মেয়ে না বিধবা মেয়ে? আমি বললাম, না, বরং বিধবা। তিনি বললেনঃ কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তার সাথে তুমিও আনন্দ করতে পারতে এবং তোমার সাথে সেও আমোদ-প্রমোদ করতে পারত। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। মৃত্যুর সময় আবদুল্লাহ (আমার পিতা) সাতটি অথবা নয়টি মেয়ে রেখে গেছেন। এজন্য এমন মহিলাকে এনেছি যেন সে তাদের দেখাশোনা করতে পারে। আমার জন্য তখন তিনি দু'আ করলেন। সহীহ, ইরওয়া (১৭৮), বুখারী, মুসলিম
অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হয় না
আবু মূসা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে না। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮১) আইশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলা বিয়ে করলে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। কিন্তু তার সাথে তার স্বামী সহবাস করলে তবে সে তার লজ্জাস্থান হালাল মনে করে সংগত হওয়ার কারণে তার নিকট মোহরের অধিকারী হবে। যদি অভিভাবকগণ বিবাদ করে তাহলে যে ব্যক্তির কোন অভিভাবক নেই তার ওয়ালী হবে দেশের শাসক। সহীহ, ইরওয়া (১৮৪০)
সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে হতে পারে না
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যেসব নারী সাক্ষী ছাড়া নিজেদেরকে বিয়ে দেয় তারা ব্যভিচারিনী, যেনাকারিনী। যঈফ, ইরওয়া (১৮৬২)
-
সাঈদ ইবনু আবী আরূবা কুতাইবা-গুনদার মুহাম্মাদ ইবনু জাফর হতে তিনি সাঈদ ইবনু আবী আরূবার সুত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রে এটা মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেন নাই। আর এটাই অধিক সহীহ। দেখুন পূর্বের হাদীস।
বিয়ের খুতবা প্রসঙ্গে
আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমাদেরকে নামাযের তাশাহহুদ এবং (বিয়ে ইত্যাদি) প্রয়োজনের তাশাহহদও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ নামাযের তাশাহহুদ হচ্ছে, “সমস্ত সম্মান, ইবাদাত ও পবিত্রতা আল্লাহ তা'আলার জন্য। হে নাৰী! আপনার উপর শান্তি বৰ্ধিত হোক এবং আল্লাহ তা'আলার অনুগ্রহ ও প্রাচুর্যও । আমাদের ও আল্লাহ তা'আলার নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মা'বূদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল"। আর প্রয়োজনের (হাজাতের) তাশাহহুদ হলঃ “সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য। তাঁর নিকটই আমরা সাহায্য চাই এবং তাঁর নিকটই ক্ষমা চাই। আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের মন্দ কাজসমূহ হতে আশ্রয় চাই। যে লোককে তিনি হিদায়াত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না, আর যাকে তিনি গুমরাহ করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত আর কোন মা'বূদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল"। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আরো তিনটি আয়াত পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী আবসার বলেন, এ তিনটি আয়াত সুফিয়ান সাওরী উল্লেখ করেছেনঃ ১. “হে ঈমানদারগণ! বাস্তবিকই তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর এবং তোমরা মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত মুসলিম (অনুগত) না হয়ে মৃত্যু বরণ করে না" (সূরাঃ আলে-ইমরান-১০২)। ২. “হে জনগণ ! ভয় কর তোমাদের প্রভুকে। তিনি একটি প্রাণ হতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার জোড়াও তৈরী করেছেন তা হতেই। তিনি অসংখ্য পুরুষ ও স্ত্রীলোক তাদের উভয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তোমরা ভয় কর আল্লাহ তা’আলাকে, তোমরা যার দোহাই দিয়ে নিজ নিজ অধিকার দাবি কর একে অপরের নিকট এবং বিরত থাক আত্মীয়তার সম্পর্ক বিনষ্ট করা হতে। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের কাজের পর্যবেক্ষণ করছেন" (সূরা নিসা-১)। ৩. “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর এবং সত্য কথা ৰল। তোমাদের কাজ-কর্ম আল্লাহ সংশোধন করে দিবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। যে লোক আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে লোক বড় রকমের সাফল্য পেল" (সূরাঃ আহযাব- ৭০,৭১)। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৯২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যেসব খুতবায় (বক্তৃতায়) তাশাহহুদ পাঠ করা হয় না তা কাটা হাতের সমতুল্য। সহীহ, আল আজবিতুন্ নাফিয়াহ (৪৮), তামামুল মিন্নাহ তাহকীক ছানী
বিয়ের ব্যাপারে কুমারী (বিক্র) ও অকুমারী (সায়্যিব) অনুমতি নেয়া
আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রাপ্তবয়স্কা (সায়্যিব) নারীকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না। নীরবতাই তার অনুমতি। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৮৭১), বুখারী ও মুসলিম ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিজের (বিয়ের) ব্যাপারে প্রাপ্তবয়স্কা নারী (আয়্যিম) তার অভিভাবক হতে বেশি কর্তৃত্বশীল। কুমারীর (বিক্র, বিয়ের) ব্যাপারে তার মতামত নেয়া আবশ্যক। তার নীরবতাই তার সম্মতি। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৮৭০) মুসলিম
জোরপূর্বক ইয়াতীম মেয়েকে বিয়ে দেওয়া
আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াতীম কুমারীর (বিয়ের) ব্যাপারে তার নিজের মত নিতে হবে। সে চুপ থাকলে তবে এটাই তার সম্মতিগণ্য হয়ে যাবে। সে সরাসরি অস্বীকার করলে তবে তার উপর জোর খাটানো যাবে না। হাসান সহীহ, ইরওয়া (১৮৩৪), সহীহ আবু দাউদ (১৮২৫)
দুই অভিভাবক (পৃথকভাবে) বিয়ে দিলে
সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (সম-পর্যায়ের) দুইজন অভিভাবক কোন মেয়েকে (ভিন্ন দুই ব্যক্তির নিকট) বিয়ে দিলে প্রথম জনের বিয়ে বহাল হবে। কোন ব্যক্তি (একই মাল) দু’জন খরিদ্দারের নিকট বিক্রয় করলে তা প্রথম খরিদ্দারই পাবে। যঈফ, ইরওয়া (১৮৫৩) বেচা কেনার হাদীস।
মনিবের বিনা অনুমতিতে গোলামের বিয়ে
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন গোলাম তার মনিবের বিনা অনুমতিতে বিয়ে করলে সে ব্যভিচারী। হাসান, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৯) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন গোলাম তার মনিবের বিনা অনুমতিতে বিয়ে করলে সে যিনাকারী বলে গণ্য হবে। হাসান, দেখুন পূর্বের হাদীস
মহিলাদের মোহরের বর্ণনা
আবদুল্লাহ ইবনু আমির ইবনু রাবীআ (রাঃ) হতে তার পিতা ফাযারা গোত্রের এক মহিলা একজোড়া জুতার বদলে বিয়ে করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি একজোড়া জুতার বদলে তোমার জিন্দেগী ও সম্পদ সপে দিতে রাজী হয়ে গেলে? সে বলল, হ্যাঁ। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই বিয়ে অনুমোদন করলেন। যইফ, ইবনু মাজাহ (১৮৮৮)
মহিলাদের মোহরানার বর্ণনা
সাহল ইবনু সা'দ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে একজন স্ত্রীলোক বলল, আমি আপনার জন্য নিজেকে দান (হেবা) করলাম। (একথা বলে) সে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল। আপনার যদি তাকে প্রয়োজন না হয় তবে আমার সাথে তার বিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তার মোহর আদায়ের মত তোমার নিকট কিছু আছে কি? সে বলল, আমার এ কাপড়টি ব্যতীত আমার নিকট আর কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে যদি তোমার কাপড়টি দাও তবে তোমাকে তো (ঘরে) বসে থাকতে হবে এবং তোমার কাপড় বলতে আর কিছু থাকবে না। অন্য কিছু খুঁজে নিয়ে আস। (কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে) সে বলল, কিছুই খুঁজে পাইনি। তিনি বললেনঃ একটি লোহার আংটি হলেও খুঁজে আন। বর্ণনাকারী বলেন, সে কিছুই খুঁজে পেল না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কুরআনের কিছু জানা আছে কি তোমারঃ সে বলল, হ্যাঁ, অমুক অমুক সূরা জানি। সে সূরাগুলোর নামও বলল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কুরাআনের যেটুকু অংশ তোমার জানা আছে তার বিনিময়ে তোমার সাথে তার বিয়ে দিলাম। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮৯), বুখারী, মুসলিম ---------------- ১১১৪/২. আবুল আজফা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, সাবধান! তোমরা নারীদের মোহরানা উচ্চহারে বাড়িয়ে দিও না। কেননা, তা দুনিয়াতে যদি সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহ্ তা'আলার নিকট তাকওয়ার বস্তু হত তবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের চেয়ে বেশি উদ্যোগী হতেন। কিন্তু বার উকিয়ার বেশি পরিমাণ মোহরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কোন স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন অথবা তার কোন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮৭) এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। আবুল আজফার নাম হারিম। আলিমদের মতে চল্লিশ দিরহামের সমান এক উকিয়া এবং চার শত আশি দিরহামের সমান বার উকিয়া।
নিজের দাসীকে আযাদ করে বিয়ে করা
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যাকে বিয়ে করেন তাকে আযাদ করে এবং তার মোহর নির্ধারণ করেন এই দাসত্ব মুক্তিকে। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৭), বুখারী, মুসলিম
দাসীকে আযাদ করে তাকে বিয়ে করার ফযিলত
আবূ বুরদা ইবনু আবূ মূসা (রাঃ) হতে তার পিতা তিনি (আবূ মূসা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন প্রকার লোকের সাওয়াব দ্বিগুণ করা হবে। যে গোলাম আল্লাহ ও তার মনিবের হাক্ব সঠিকভাবে আদায় করেছে। তার সাওয়াব দ্বিগুণ করা হবে। যে লোকের সুন্দরী বাঁদীঁ ছিল, সে তাকে উত্তম আচরণ ও আদব-কায়দা শিখিয়েছে এবং তাকে পরবর্তীতে মুক্ত করে বিয়ে করেছে শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য। তার সাওয়াবও দ্বিগুণ করা হবে। পূর্ববর্তী কিতাবের প্রতি যে লোক ঈমান এনেছে, তারপর পরবর্তী কিতাব (কুরআন) আসার পর তার উপরও ঈমান এনেছে, তাকেও দ্বিগুণ সাওয়াব প্রদান করা হবে। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৬)
সহবাসের পূর্বে তালাক দেয়া স্ত্রীর কন্যাকে বিয়ে করা যায় কি-না?
আমর ইবনু শুআইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন লোক কোন নারীকে বিয়ে করে তার সাথে সহবাস করলে তার সাথে ঐ নারীর মেয়ের বিয়ে বৈধ নয়। সে যদি তার সাথে সহবাস না করে থাকে তবে সে তার কন্যাকে বিয়ে করতে পারে। যে কোন লোক কোন নারীকে বিয়ে করার পর তার সাথে সহবাস করুক বা না করুক, তার মায়ের সাথে তার বিয়ে বৈধ নয়। যঈফ, ইরওয়া (১৮৭৯)
কোন লোক তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার পর সে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করলে এবং সহবাসের পূর্বে সেও তালাক দিলে
আইশা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে রিফাআ আল-কুরাযীর স্ত্রী এসে বললো, আমি রিফাআর স্ত্রী ছিলাম। সে আমাকে বাত্তা তালাক অর্থাৎ তিন তালাক দেয়। তারপর আমি বিয়ে করি আবদুর রাহমান ইবনু যুবাইরকে কিন্তু তার সাথে কাপড়ের পাড়ের মত (অকেজো পুরুষাঙ্গ) ব্যতীত আর কিছুই নেই। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি রিফাআর নিকটে আবার ফিরে যেতে চাও? কিন্তু তা হবে না, তুমি যতক্ষণ না তার মধু আস্বাদন করবে এবং সে তোমার মধু আস্বাদন করবে (তারপর তালাক দিবে)। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৩৪), নাসা-ঈ
যে লোক হিলা করে এবং যে লোক হিলা করায়
আলী (রাঃ) ও জাবির (রাঃ) তারা উভয়ে বলেছেন, যে লোক হিলা করে এবং যে লোকের জন্য হিলা করা হয় তাদের উভয়ের প্রতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫৩৫) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) তিনি বলেন, যে লোক হিলা করে এবং যে লোকের জন্য হিলা করা হয় উভয়কেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ দেখুন পূর্বের হাদীস
মুত্আ বিয়ে হারাম
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) খাইবারের যুদ্ধের দিন নারীদের সাথে মুত্আ বিয়ে করতে এবং গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯৬১), বুখারী, মুসলিম ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেছেন, ইসলামের প্রথম যুগে মুতআ বিয়ের চর্চা ছিল। কোন ব্যক্তি কাজের উদ্দেশে কোন অপরিচিত লোকালয়ে গিয়ে পৌছত। সেখানে সে যত দিন থাকবে বলে মনে করত তত দিনের জন্য সে কোন নারীকে বিয়ে করত। সে তার মাল-পত্রের দেখাশুনা করত এবং তাকে রান্না করে দিত। অবশেষে যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ “যারা নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাযাত করে; নিজেদের স্ত্রীদের ব্যতীত এবং তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয় সেসব মেয়েলোক ব্যতীত। এসব ক্ষেত্রে (লজ্জাস্থানের হিফাযাত না করা হলেও) তারা ভৎর্সনা এবং তিরস্কারের যোগ্য নয়। এদের ব্যতীত অন্য কিছু চাইলে তারা অবশ্যই সীমালংঘনকারী হবে”— সূরা মু'মিনূনঃ ৫, ৬, ৭ এবং সূরা মাআরিজঃ ২৯, ৩০, ৩১ । ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ তারপর এ দু'টি ব্যতীত সব লজ্জাস্থানই হারাম হয়ে গেল। মুনকার, ইরওয়া (১৯০৩),মিশকাত তাহক্বীক্ব ছানী (৩১৫৮)
শিগার বিয়ে নিষিদ্ধ
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে ‘জালাব’, ‘জানাব’ বা ‘শিগার’ কোনটারই স্থান নেই। যে লোক ছিনতাই বা লুণ্ঠন করল সে লোক আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। সহীহ, মিশকাত তাহকীক ছানী (২৯৪৭), সহীহ আবূ দাউদ (২৩২৪) ইবনু উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিগার নিষিদ্ধ করেছেন। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮৩),বুখারী, মুসলিম
কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা খালার সতীন হিসেবে বিয়ে করা বৈধ নয়
ইবনু আব্বাস (রাঃ) কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা খালার সাথে (সতীনরূপে) বিয়ে করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। সহীহ, ইরওয়া (২৮৮২), যঈফ আবূ দাউদ (৩৫২) আবু হুরাইরা (রাঃ) কোন মহিলাকে তার ফুফুর সাথে অথবা ফুফুকে তার ভাইয়ের মেয়ের সাথে অথবা কোন মহিলাকে তার খালার সাথে অথবা খালাকে তার বোনের মেয়ের সাথে এবং ছোট বোনের সাথে বড় বোনকে এবং বড় বোনের সাথে ছোট বোনকে একত্রে (সতীনরূপে) বিয়ে করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন। সহীহ, ইরওয়া (৬/২৮৯), সহীহ্ আবু দাউদ (১৮০২)
বিয়ে ‘আকদ (বিধিবদ্ধ) হওয়ার সময় শর্তারোপ
উকবা ইবনু আমির আল-জুহানী (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদেরকে (বিয়ের চুক্তির) যে সকল শর্ত পালন করতে হয় তার মধ্যে সেসব শর্তই সবচেয়ে বেশি পালনীয় যার দ্বারা কোন মহিলাকে তোমরা হালাল কর। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৪), বুখারী, মুসলিম
কোন লোক তার দশজন স্ত্রী থাকাবস্থায় মুসলমান হলে
ইবনু উমর (রাঃ) যে সময়ে গাইলান ইবনু সালামা আস-সাকাফী ইসলাম গ্রহণ করেন সে সময়ে তার দশজন স্ত্রী ছিল, যাদের তিনি বিয়ে করেছিলেন জাহিলী যুগের মধ্যে। তার সাথে সাথে তারাও মুসলমান হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে এদের মধ্যে যে কোন চারজনকে বেছে নেয়ার নির্দেশ দেন। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৯৫৩)
কোন লোক তার অধীনে দুই বোন স্ত্রী থাকাবস্থায় মুসলমান হলে
ইবনু ফাইরূয আদ-দাইলামী (রহঃ) হতে তার পিতা তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং আমার অধীনে দুই বোন স্ত্রী হিসেবে আছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দু'জনের মধ্যে যাকে ভালো লাগে তাকে বেছে নাও। - হাসান, ইবনু মা-জাহ (১৯৫১) ফাইরূয দাইলামী (রাঃ) আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি, আমার অধীনে দুই বোন একত্রে স্ত্রী হিসেবে আছে। তিনি বললেনঃ তাদের মধ্যে যাকে খুশি তুমি বেছে নাও। – হাসান, দেখুন পূর্বের হাদীস ।
কোন লোক গর্ভবতী দাসীকে ক্রয় করলে
রুআইফি ইবনু সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ও আখিরাতের উপর যে লোক ঈমান রাখে সে লোক যেন নিজের পানি (বীর্য) দিয়ে অন্যের সন্তানকে সিক্ত না করে। হাসান, ইরওয়া (২১৩৭), সহীহ্ আবূ দাউদ (১৮৭৪)
যুদ্ধবন্দিনীর স্বামী থাকলে তার সাথে সহবাস করা বৈধ কি-না?
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা কিছুসংখ্যক মহিলাকে আওতাস যুদ্ধের দিন বন্দী করলাম। তাদের মধ্যে অনেকেরই স্বামী ছিল তাদের নিজ সম্প্রদায়ে। লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিষয়টি জানালেন। তখন এ আয়াতটি নাযিল হলঃ কারো বিয়ে বন্ধনে যেসব স্ত্রীলোক আবদ্ধ আছে তারাও তোমাদের জন্য হারাম; অবশ্য যারা (যুদ্ধে) তোমাদের হস্তগত হবে তারা এর অন্তর্ভুক্ত নয় (সূরাঃ নিসা- ২৪)। সহীহ্, সহীহ্ আবূ দাউদ (১৮৭১)
ব্যভিচারিনীর উপার্জন হারাম
আবূ মাসউদ আল-আনসারী (রাঃ) তিনি বলেন, কুকুরের বিক্রয় মূল্য, ব্যভিচারিনীর উপার্জন এবং গণক ঠাকুরের উপটৌকন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষিদ্ধ করেছেন। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২৫৯০), বুখারী, মুসলিম
কোন লোক তার ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব যেন না দেয়
আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যেন তার অন্য ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয় প্রস্তাবের উপর নিজের ক্রয়-বিক্রয়ের প্রস্তাব না করে এবং তার বিয়ের প্রস্তাবের উপর যেন নিজের বিয়ের প্রস্তাব না দেয়। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২১৭২), বুখারী, মুসলিম আবূ বকর ইবনু আবু জাহম (রহঃ) ফাতিমা বিনতু কাইসের নিকট আমি ও আবূ সালামা ইবনু আবদুর রাহমান গেলাম। তিনি আমাদের বললেন, তাকে তার স্বামী তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে কিন্তু সে তার জন্য থাকার ও ভরণপোষণের কোন ব্যবস্থা করেনি তবে আমার জন্য তার চাচাতো ভাইয়ের নিকট পাঁচ কাফীয যব ও পাঁচ কাফীয আটা মোট দশ কাফীযের ব্যবস্থা করেছে। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাকে অবহিত করলাম। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “সে ঠিকই করেছে"। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন উন্মু শারীকের বাড়ীতে ইদ্দাত পালনের জন্য। আবার তিনি আমাকে বললেনঃ “মুহাজিরদের চলাচল খুব বেশি হয়ে থাকে উম্মু শারীকের বাড়ীতে। অতএব, তুমি ইদ্দাত পালন কর উন্মু মাকতূমের ছেলের বাড়ীতে। তুমি প্রয়োজনে কাপড় পরিবর্তন করলে সে তোমাকে দেখতে পাবে না। কোন লোক যদি তোমাকে তোমার ইদ্দাত পূর্ণ হওয়ার পর বিয়ের প্রস্তাব দেয় তবে তুমি আমার নিকট এসো।" আমার ইদ্দাত শেষ হবার পর আবূ জাহম ও মুআবিয়া উভয়ে আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে তাকে জানালাম। তিনি বললেন মুআবিয়া দরিদ্র লোক, তার তেমন কোন ধন-সম্পদ নেই। আর স্ত্রীদের প্রতি আবূ জাহম খুবই কঠোর। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, তারপর আমার নিকট উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) প্রস্তাব করেন এবং আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে বিয়ে দেন। আল্লাহ তা’আলা আমাকে অশেষ কল্যাণ ও বারকাত দান করেছেন উসামার মাধ্যমে। সহীহ্, ইরওয়া (৬/২০৯), সহীহ্ আবূ দাউদ (১৯৭৬), মুসলিম
আযল প্রসঙ্গে
জাবির (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আযল করতাম। কিন্তু এটাকে ‘জীবন্ত কবর দেয়ার’ নামান্তর মনে করে ইয়াহুদীরা। তিনি বললেনঃ ইয়াহুদীরা মিথ্যা বলেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা কোন কিছু সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিলে কেউই তা বাধা দিয়ে রাখতে পারে না। সহীহ্, আল-আ-দাব (৫২), সহীহ্ আবু দাউদ (১৮৮৪) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) তিনি বলেন, আমরা কুরআন অবতীর্ণ হতে থাকাকালে (আল্লাহর রাসূলের জীবদ্দশায়) আযল করতাম। - সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৯২৭), বুখারী, মুসলিম
আযল করা মাকরূহ
আবু সাঈদ (রাঃ) তিনি বলেন, আযল করা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে আলোচনা করা হলে তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে কোন লোক তা করে কেন? (অধস্তন বর্ণনাকারী) ইবনু আবূ উমারের বর্ণিত হাদীসের মধ্যে আরো আছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা বলেননি' "তোমাদের মাঝে কোন লোক যেন তা না করে।" তারপর উভয়ের (কুতাইবা ও ইবনু আবু উমার) বর্ণনায় আরও উল্লেখ আছে, “আল্লাহ তা'আলা সেসবকে অবশ্যই সৃষ্টি করবেন যেসব জীবন সৃষ্টি হওয়ার জন্য নিৰ্দ্ধারিত হয়ে আছে।” সহীহ্, আল-আ-দাব (৫৪, ৫৫), সহীহ্ আবূ দাউদ (১৮৮৬), মুসলিম
বাকিরা ও সাইয়্যিবা স্ত্রীর মধ্যে পালা বন্টন
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, আমি যদি ইচ্ছা করি তবে বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন। কিন্তু তিনি বলেছেনঃ সুন্নাত নিয়ম হচ্ছে, নিজের স্ত্রী থাকার পরেও কোন লোক কুমারী নারীকে বিয়ে করলে একাধারে সাত দিন সে তার সাথে অবস্থান করবে এবং সায়্যিবা (অকুমারী) নারীকে বিয়ে করলে একাধারে তিন দিন তার সাথে অবস্থান করবে। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৯১৬), বুখারী, মুসলিম
স্ত্রীদের মধ্যে আচরণে সমতা রক্ষা করা
আইশা (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিবিদের মাঝে খুবই ন্যায়সংগতভাবে পালা বন্টন করতেন। আর তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমার সামর্থ্য অনুযায়ী এই আমার পালা বন্টন। যে ব্যাপারে শুধু তোমারই পূর্ণ শক্তি আছে, আমার কোন শক্তি নেই, সেই ব্যাপারে আমাকে তিরস্কার কর না।" যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৯৭১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোকের নিকট দু'জন স্ত্রী আছে সে লোক যদি তাদের মধ্যে সমতা না রাখে তবে কিয়ামাতের দিন সে লোক তার দেহের এক পার্শ্ব ভাঙ্গা অবস্থায় উপস্থিত হবে। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৯৬৯)
মুশ্রিক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন একজন ইসলাম গ্রহণ করলে
আমর ইবনু শুআইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় কন্যা যাইনাবকে পুনরায় মোহর নির্ধারণ করে এবং নতুন বিয়ের মাধ্যমে আবূল আস ইবনুর রাবীর নিকটে ফিরিয়ে দেন। যঈফ, ইবনু মাজাহ (২০১০) ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মেয়ে যাইনবকে প্রথম বিয়ে বহাল রেখেই আবুল আস ইবনুর রাবীকে ছয় বছর পর ফিরিয়ে দিয়েছেন, নতুন করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেননি। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২০০৯) ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে এক লোক মুসলমান হয়ে আসার পর তার স্ত্রীও মুসলমান হয়ে আসে। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সে আমার সাথে মুসলমান হয়েছে। অতএব আমার স্ত্রী আমাকে ফিরিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার স্ত্রী তাকে ফেরত দিলেন। এ হাদীসটি সহীহ।
বিয়ের পরবর্তীতে সহবাস ও মোহর নির্ধারণের আগে স্বামী মৃত্যুবরণ করলে
ইবনু মাসউদ (রাঃ) তাকে প্রশ্ন করা হলঃ এক লোক এক মহিলাকে বিয়ের পর তার মোহর না ঠিক করে এবং তার সাথে সহবাস না করেই মৃত্যুবরণ করল, তার জন্য কি হুকুম আছে? ইবনু মাসউদ (রাঃ) বললেন, মহিলাটি তার পরিবারের অন্যান্য মেয়েদের সম-পরিমাণ মোহর পাবে, তার কমও পাবে না বেশিও পাবে না। তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য সে মহিলাটি ইদ্দাত পালন করবে এবং সে (তার) ওয়ারিসের অধিকারীও হবে। তখন মাকিল ইবনু সিনান আল-আশজাঈ (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আপনি যে ধরণের ফায়সালা করেছেন, আমাদের বংশের মেয়ে ওয়াশিকের কন্যা বিরওয়াআ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও একই ফায়সালা করেছেন। ইবনু মাসউদ (রাঃ) এটা শুনে খুবই আনন্দিত হন। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৮৯১)