58. সাদাকাহ্ সম্পর্কিত অধ্যায়
সাদাকাহ্ প্রদানের উৎসাহ প্রসঙ্গে
সাঈদ ইব্নু ইয়াসার (রহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে অর্জিত মাল থেকে সাদাকাহ্ করে, আল্লাহ্ তা‘আলা শুধুমাত্র হালাল অর্থাৎ পবিত্রকেই কবূল করেন-- তা হলে উক্ত সাদাকাহ্ সে আল্লাহ্র হাতে দিল। আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে এভাবে লালন-পালন করেন, যেভাবে তোমরা ঘোড়ার বাচ্চা কিংবা উটের বাচ্চা লালন-পালন কর। শেষ পর্যন্ত সেই সাদাকাহ্ (বর্ধিত হয়ে) পর্বতসমান হয়ে যায়। (বুখারী ৭৪৩০, ইমাম মুসলিম ইবনু আব্বাস থেকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন ১০১৪) আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবূ তালহা (রাঃ) ছিলেন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি। তাঁর সবচাইতে অধিক খেজুর বৃক্ষ ছিল। সমুদয় বাগানের মধ্যে “বাইরুহা” নামক বাগানটি ছিল তাঁর (আবূ তালহার) অধিক পছন্দনীয়। বাগানটি মসজিদে নববীর সামনেই অবস্থিত ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই বাগানে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। সেখানকার পানি খুবই উত্তম ছিল, তিনি তা পান করতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ অর্থাৎ যতক্ষণ তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহ্র রাহে) খরচ না করবে, ততক্ষণ তোমরা সওয়াব পাবে না। তখন আবূ তালহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহ্র রাহে) খরচ না করবে, ততক্ষণ তোমরা সওয়াব পাবে না। আর আমার প্রিয় বস্তু হল এই ‘বাইরুহা’। আমি একে আল্লাহর রাস্তায় সাদাকাহ্ করলাম। এর বিনিময়ে আমি নেকীর আশা রাখি এবং ইহা আল্লাহ্র নিকট জমা রাখছি। সুতরাং ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আপনি একে যেভাবে ইচ্ছা ব্যায় করুন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বাহ্বা! এটা অত্যন্ত লাভজনক মাল, এটা অত্যন্ত লাভজনক মাল। তুমি এই বাগান সম্বন্ধে যা কিছু বলেছ আমি উহা শ্রবণ করেছি। আমার মনে হয়, তুমি একে তোমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করে দাও। আবূ তালহা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি উহা বিতরণ করে দিব। অতএব আবূ তালহা (রাঃ) তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও চাচাত ভাইগণের মধ্যে উহা বণ্টন করে দিলেন। (বুখারী ১৪৬১, মুসলিম ৯৯৮) যায়দ ইব্নু আসলাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ভিক্ষুককে দাও যদিও সে ঘোড়ায় আরোহণ করে আসে। (যয়ীফ, আবূ দাঊদ ১৬৬৫, তিনি হুসাইন বিন আলী থেকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন। আলবানী হাদীসটি যয়ীফ বলেছেন [সিলসিলা যয়ীফা ১৩৭৮], তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল) আ‘মর ইব্নু মুয়াজ আশহালী তাঁর দাদী রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হে মু‘মিন মহিলাগণ! তোমাদের কেউ যেন স্বীয় প্রতিবেশীকে তুচ্ছ মনে না করে, যদিও সে ছাগলের একটি পোড়া খুর পাঠায় (তাও কবূল কর)। (বুখারী ২৫৬৬, মুসলিম ১০৩০) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) তাঁর নিকট জনৈক ভিক্ষুক এসে কিছু ভিক্ষা চাইল। তিনি (আয়িশা) রোযা রেখেছিলেন। ঘরে একটি রুটি ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। তিনি স্বীয় দাসীকে বললেন, উহা ফকীরকে দিয়ে দাও। দাসী বলল, আপনার ইফতারের জন্য আর কিছুই থাকবে না। তিনি বললেন, (যাহা হোক) দিয়ে দাও। অতঃপর দাসী সেই রুটি ফকীরকে দিয়ে দিল। দাসীটি বলে, সন্ধ্যার সময় কোন বাড়ি হতে বা কোন এক ব্যক্তি হাদিয়া পাঠিয়ে দিল ছাগলের ভুনা গোশত যে কখনো হাদীয়া পাঠাতো না। আয়িশা (রাঃ) আমাকে ডেকে বললেন, খাও। ইহা তোমার রুটি হতে উত্তম। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) মালিক (রহঃ) জনৈক মিসকীন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে এসে কিছু ভিক্ষা চাইল। তাঁর সম্মুখে তখন আঙ্গুর ছিল। আয়িশা (রাঃ) এক ব্যক্তিকে বললেন, একটি আঙ্গুর নিয়ে ঐ মিসকীনকে দিয়ে দাও। লোকটি আশ্চর্যবোধ করতে লাগল (মাত্র একটি আঙ্গুর দিচ্ছেন!)। আয়িশা (রাঃ) লোকটির মনোভাব বুঝতে পেরে বললেন, তুমি আশ্চর্যবোধ করছ? এই একটি আঙ্গুর কত অণু পরিমাণ হবে বলে তুমি মনে কর ? [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
ভিক্ষা করা হতে বিরত থাকা প্রসঙ্গে
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) আনসারের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু চাইল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে কিছু দান করলেন; তারা পুনরায় কিছু চাইল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার কিছু দান করলেন। এইভাবে তিনবার দান করলেন ; এমন কি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যা কিছু ছিল, সব নিঃশেষ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, আমার কাছে যে পরিমাণ মাল থাকবে, উহা তোমাদের না দিয়ে আমি কখনও জমা করে রাখব না। তবে যে ভিক্ষা চাওয়া হতে বিরত থাকবে, আল্লাহ্ তাকে রক্ষা করেন। যে সবর করে কারো মুখাপেক্ষী নয় বলে কার্যত প্রকাশ করবে, আল্লাহ্ তাকে ধনী করে দিবেন। যে সবর করবে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে সবরের তাওফীক দান করবেন। মানুষকে যা কিছু দান করা হয়েছে, তন্মধ্যে সবরের চাইতে বড় ও উত্তম আর কিছু নেই। (বুখারী ১৪৬৯, মুসলিম ১০৫৩) আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের উপর আরোহণ করে বললেন, তিনি তখন সাদাকাহ্ ও ভিক্ষাবৃত্তি হতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্পর্কে কথা বলছিলেন, নিচের হাতের চাইতে উপরের হাত উত্তম। উপরের হাত হল দাতার হাত এবং নিচের হাত হল ভিক্ষুকের হাত। (বুখারী ১৪২৯, মুসলিম ১০৩৩) আ‘তা ইব্নু ইয়াসার (রহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট কিছু দান (বা তুহফা) প্রেরণ করলেন। উমার (রাঃ) উহা (গ্রহণ করলেন না বরং) ফেরত পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ফেরত পাঠালে কেন? উমার (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আপনি কি আমাদেরকে বলেছিলেন যে, এ লোকটি উত্তম, যে কারো নিকট হতে কিছু গ্রহণ করে না? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এর অর্থ এই যে, ভিক্ষা চেয়ে কিছু গ্রহণ করবে না। আর চাওয়া ছাড়া যদি পাওয়া যায় উহা আল্লাহ্র দান। অতঃপর উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) বললেন, সেই পাক যাতের কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, ভবিষ্যতে আমি কারো নিকট কিছু চাইব না এবং চাওয়া ছাড়া কিছু পাওয়া গেলে উহা গ্রহণ করব। (আবদুর রাযযাকে বর্ণনা করেন ১১/১০৩) আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সেই পাক যাতের কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, যদি কোন মুসলমান রশি দিয়ে জ্বালানি কাঠের বোঝা বেঁধে উহা স্বীয় পৃষ্ঠে তুলে নেয় (এবং উহাকে বিক্রি করে রোজগার করে), তা সেই ব্যক্তির জন্য ইহা হতে উত্তম যে, সে এমন কোন ব্যক্তির নিকট গিয়ে কিছু (ভিক্ষা) চায়, যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা মাল দিয়েছেন, সে তাকে কিছু দিক বা না দিক। [১] (বুখারী ১৪৭০, মুসলিম ১০৪২) আসাদ গোত্রীয় এক ব্যক্তির নিকট হতে আ‘তা ইব্নু ইয়াসার (রহঃ) তিনি বলেছেন, আমি ও আমার পরিবার বকীউল-গরকদে (মদীনার প্রসিদ্ধ কবরস্থান) অবস্থান করলাম। আমার স্ত্রী আমাকে বলল, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে আমাদের খাওয়ার জন্য কিছু চেয়ে আন এবং আমাদের দৈন্যের কথা বর্ণনা কর। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে দেখি যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কিছু ভিক্ষা চাচ্ছে এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলছেন, আমার কাছে এমন কিছু নেই যে, আমি তোমাকে দিতে পারি। (এটা শুনে) লোকটি ক্রোধান্বিত হয়ে এই বলতে বলতে ফিরে গেল, আমার জীবনের কসম! তুমি যাকে দিতে চাও তাকেই দাও। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই লোকটি আমার উপর এইজন্য রাগ করে চলে গেল যে, তাকে কিছু দেয়ার মতো আমার কাছে কিছু নেই। যে মুসলমানের নিকট চল্লিশ দিরহাম (এক উকিয়া) কিংবা সেই পরিমাণ মাল আছে, সে যদি ভিক্ষা চায় তবে সে কাকুতি মিনতি করে ভিক্ষা চাইল। আসাদ গোত্রীয় লোকটি বলল, একটি দুধের উষ্ট্রী আমার জন্য এক উকিয়া (চল্লিশ দিরহাম) হতে উত্তম। মালিক (রহঃ) বলেন, চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া হয়। আসাদ লোকটি বলল, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু না চেয়ে প্রত্যাবর্তন করলাম। এর পর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যব ও শুকনা আঙ্গুর এল এবং তিনি আমাদেরকেও সেগুলো হতে দিলেন, এমন কি শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে ধনী করে দিলেন। (সহীহ, আবূ দাঊদ ১৬২৭, নাসাঈ ২৫৯৬, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সিলসিলা সহীহাহ ১৭১৯]) আ‘লা ইব্নু আবদুর রহমান (রাঃ) আল্লাহ্র পথে মাল সাদাকাহ্ করলে মাল কমে যায় না। মাফ করলে সম্মান বৃদ্ধি হয় এবং নম্রতা প্রদর্শনকারীর মর্যাদা আল্লাহ্ তা‘আলা বাড়িয়ে দেন। মালিক (রহঃ) বলেন হাদীসটি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মারফু’ কিনা আমার জানা নেই। (সহীহ মারফু, ইমাম মুসলিম মারফু সনদে আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ২৫৮৮)
যেই সাদাকাহ্ মাকরূহ
মালিক (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের জন্য সাদাকাহ্ হালাল নয়; উহা (সাদাকাহ্) মানুষের হাতের ময়লা। [১] (সহীহ, ইমাম মুসলিম মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন ১০৭২, তবে ইমাম মালিক এর নিকট হাদীসটি পৌঁছেছে বলে তিনি বর্ণনা করেছেন) আবূ বাকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বানী আবদিল আশহাল গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে সাদাকাহ্ উশুল করার জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করলেন। লোকটি (কাজ শেষে) প্রত্যাবর্তন করে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট (তার পরিশ্রম ছাড়া) সাদাকার একটি উট চাইল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত হলেন; তাঁর চেহারা মুবারকে ক্রোধের লক্ষণ দৃষ্ট হল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ক্রোধের লক্ষণ এই ছিল যে, তখন তাঁর চক্ষু মুবারক লাল হয়ে যেত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেউ কেউ আমার কাছে এমন কিছু চায় যা আমার জন্য দেয়া অনুচিত এবং তার পক্ষে চাওয়াও অনুচিত। আমি যদি না দেই, তবে উহা আমার খারাপ লাগে, আর যদি দেই, তবে আমার পক্ষে দেয়া অনুচিত, তার পক্ষে নেওয়াও অনুচিত। অতঃপর লোকটি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আর কখনও কিছু চাইব না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন) যায়দ ইব্নু আসলামের পিতা ; তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ্ ইব্নু আরকাম (রাঃ) আমাকে বললেন, আমাকে কোন সওয়ারীর উট দেখাও। আমি উহা আমীরুল মু‘মিনীনকে বলে ব্যবহার করব। আমি বললাম, হ্যাঁ, আছে। তবে উহা সাদাকাহর উট। অতঃপর আবদুল্লাহ্ ইব্নু আরকাম বললেন, তুমি কি এটা পছন্দ করবে? গরমের দিনে কেউ স্বীয় লজ্জাস্থান এবং রানের গোড়া ধুয়ে সেই পানি তোমাকে খাওয়াতে চাইলে তুমি উহা খাবে? আসলামের পিতা বলেন, আমার বড় রাগ হল, তাকে বললাম, আল্লাহ্ তোমাকে মাফ করুন, তুমি আমাকে এই রকম কথা বলছ? আবদুল্লাহ্ বললেন, সাদাকাহ্ও মানুষের ময়লা ধোয়া পানি। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)