60. মযলুমের বদ দু‘আ অধ্যায়
মযলুমের বদ দু‘আ হতে বেঁচে থাকা প্রসঙ্গে
আসলাম (র) উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) স্বীয় আযাদকৃত গোলাম, যাকে হুনাই বলা হত, তাকে সরকারী চারণভূমিতে (রক্ষক) নিযুক্ত করলেন এবং বললেন, হে হুনাই! জনসাধারণের দিক হতে স্বীয় বাহু সংকুচিত কর (তাদের উপর যুলুম করো না), মযলুমের (অত্যাচারিতের) বদ দু‘আকে ভয় কর। কেননা মযলুমের দু‘আ কবূল হয়। যাদের নিকট সুরাইম (অল্প সংখ্যক উট) এবং গুনাইম (অল্প সংখ্যক ছাগল) আছে তাদেরকে উহা (সরকারী চারণভূমিতে) চরাইতে বাধা দিও না। (উসমান) ইবনু আফফান (রাঃ) ও (আবদুর রহমান) ইব্নু আউফ (রাঃ)-এর জানোয়ারের প্রতি ছাড় দিবে না। কেননা তাঁদের জানোয়ার ধ্বংস হয়ে গেলে তাদের বিশেষ ক্ষতি হবে না। তখন তারা মদীনায় নিজেদের বাগানে এবং ক্ষেত-খামারে চলে যাবে। কিন্তু কয়েকটি উট ও ছাগলওয়ালার (এই পশুসম্পদ) ধ্বংস হয়ে গেলে তারা তাদের সন্তানাদি নিয়ে আমার কাছে আসবে এবং ‘হে আমীরুল মু‘মিনীন’ বলে ডাক দিবে, তখন কি আমি তাদেরকে (কিছু না দিয়ে এমনিই) ছেড়ে দিব? পানি ও ঘাস দেয়া স্বর্ণ ও রৌপ্য দেয়ার তুলনায় আমার কাছে খুবই সহজ। আল্লাহ্র কসম! যারা মনে করবে যে, আমি তাদের উপর যুলুম করেছি, অথচ এই শহর এই পানি তাদেরই, এরই জন্য তারা অন্ধকার যুগে যুদ্ধ করেছে এবং পরে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সেই পবিত্র সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, যদি সাদাকাহর এই উটগুলো না হত যার উপর আমি মুজাহিদীনকে সওয়ার করাই, তা হলে তাদের যমীন হতে আমি এক বিঘতও গ্রহণ করতাম না। (সহীহ, বুখারী ৩০৫৯)