14. ই‘তিকাফ
রমাযানের শেষ দশদিন ই‘তিকাফ করা সম্পর্কে।
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। (বুখারী পর্ব ৩৩ : /১ হাঃ ২০২৫, মুসলিম কিতাবুল ই‘তিকাফ ১৪/১, হাঃ ১১৭১) নাবী সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযানের শেষ দশক ই‘তিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এ নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে) ই‘তিকাফ করতেন। (বুখারী পর্ব ৩৩ : /১ হাঃ ২০২৬, মুসলিম ১৪/১, হাঃ ১১৭২)
যে ব্যক্তি ই‘তিকাফ করার ইচ্ছে করল সে কখন ই‘তিকাফ করার স্থানে প্রবেশ করবে।
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) তিনি বলেন, রমাযানের শেষ দশকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ই‘তিকাফ করতেন। আমি তাঁর তাঁবু তৈরি করে দিতাম। তিনি ফজরের সলাত আদায় করে তাতে প্রবেশ করতেন। (নবী-সহধর্মিণী) হাফসাহ্ (রাঃ) তাঁবু খাটাবার জন্য ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলে হাফসাহ্ (রাঃ) তাঁবু খাটালেন। (নবী-সহধর্মিনী) যায়নাব বিনতু জাহশ (রাঃ) তা দেখে আরেকটি তাঁবু তৈরি করলেন। সকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁবুগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এগুলো কী? তাঁকে জানানো হলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকী হাসিল হবে? এ মাসে তিনি ই‘তিকাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে দশ দিন (কাযা স্বরূপ) ই‘তিকাফ করেন। (বুখারী পর্ব ৩৩ : /৬ হাঃ ২০৩৩, মুসলিম ১৪/২, হাঃ ১১৭৩)
রমাযানের শেষ দশদিন (বিভিন্ন ‘ইবাদাতের) যথাসাধ্য চেষ্টা করা।
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) তিনি বলেন, যখন রমাযানের শেষ দশক আসত তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (বুখারী পর্ব ৩২: /৫ হাঃ ২০২৪, মুসলিম ১৪/৩, হাঃ ১১৭৪)