29. হুদুদ

【1】

চুরির হাদ ও তার নিসাব (শাস্তি দানের জন্য অপরাধের সর্বনিম্ন পরিণাম)

আয়িশাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সিকি দীনার চুরি করায় হাত কাটা হবে। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৬৭৯০; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৪) উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন দিরহাম মূল্যমানের ঢাল চুরি করার অপরাধে চোরের হাত কর্তন করেছেন। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৬৭৯৮; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৬) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, চোরের উপর আল্লাহ্‌র লা‘নত নিপতিত হয়, যখন সে একটি ডিম চুরি করে এবং এর জন্য তার হাত কাটা যায় এবং সে একটি রশি চুরি করে। এর জন্য তার হাত কাটা যায়। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৬৭৮৩; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৭)

【2】

সম্ভ্রান্ত বা যে কোন বংশের চোরের হাত কাটা এবং হুদুদের ব্যাপারে সুপারিশ করার নিষিদ্ধতা।

আয়িশাহ (রাঃ) মাখযূম গোত্রের এক চোর নারীর ঘটনা কুরাইশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করে তুললো। এ অবস্থায় তারা বলাবলি করতে লাগল এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে কে আলাপ করতে পারে? তারা বলল, একমাত্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রিয়তম ওসামা ইব্‌নু যায়িদ এ ব্যাপারে আলোচনা করার সাহস করতে পারেন। উসামা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে কথা বললেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমাঙ্ঘনকারিণীর সাজা মাওকুফের সুপারিশ করছ? অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে খুত্‌বায় বললেন, তোমাদের পূর্বের জাতিসমূহকে এ কাজই ধ্বংস করেছে যে, যখন তাদের মধ্যে কোন বিশিষ্ট লোক চুরি করত, তখন তারা বিনা সাজায় তাকে ছেড়ে দিত। অন্যদিকে যখন কোন অসহায় গরীব সাধারণ লোক চুরি করত, তখন তার উপর হদ্ জারি করত। আল্লাহ্‌র কসম, যদি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমাহ চুরি করত তাহলে আমি তার অবশ্যই তার হাত কেটে দিতাম। (বুখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৫৪ হাদীস নং ৩৪৭৫; মুসলিম ২৯/২ হাঃ ১৬৮৮)

【3】

বিবাহিত যিনাকারকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা।

উমার ইব্‌নু খাত্তাব (রাঃ) তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন। আর তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ বিষয়াদির একটি ছিল রজমের আয়াত। আমরা সে আয়াত পড়েছি, বুঝেছি, আয়ত্ত করেছি। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথর মেরে হত্যা করেছেন। আমরাও তাঁর পরে পাথর মেরে হত্যা করেছি। আমি আশংকা করছি যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হবার পর কোন লোক এ কথা বলে ফেলতে পারে যে, আল্লাহ্‌র কসম! আমরা আল্লাহ্‌র কিতাবে পাথর মেরে হত্যার আয়াত পাচ্ছি না। ফলে তারা এমন একটি ফার্‌য ত্যাগের কারণে পথভ্রষ্ট হবে, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির উপর পাথর মেরে হত্যা অবধারিত, যে বিবাহিত হবার পর যিনা করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী। যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে অথবা গর্ভ বা স্বীকারোক্তি পাওয়া যাবে। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৩১ হাদীস নং ৬৮৩০; মুসলিম ২৯/৮, ১৬৯১)

【4】

যে নিজেই যিনা করার কথা স্বীকার করলো।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এল। তিনি তখন মাসজিদে ছিলেন। সে তাঁকে ডেকে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি যিনা করেছি। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে কথাটি সে চারবার পুনরাবৃত্তি করল। যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য প্রদান করল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামীর দোষ আছে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে কি তুমি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও আর রজম করো। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি তার রজমকারীদের মধ্যে একজন ছিলাম। আমরা তাকে জানাযা আদায়ের স্থানে রজম করি। পাথরের আঘাত যখন তার অসহ্য হচ্ছিল তখন সে পালাতে লাগল। আমরা হার্‌রা নামক স্থানে তার নাগাল পেলাম। আর সেখানে তাকে রজম করলাম। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২২ হাদীস নং ৬৮১৫-৬৮১৬; মুসলিম ২৯/৫ হাঃ ১৬৯১) যায়দ ইব্‌নু খালিদ জুহানী (রাঃ) তাঁরা বলল, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র কসম দিয়ে বলছি, আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করবেন। তখন তার প্রতিপক্ষ দাঁড়াল, আর সে ছিল তার চেয়ে অধিক বিজ্ঞ এবং বলল, সে ঠিকই বলেছে। আপনি আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে অনুমতি দিন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ বল। তখন সে বলল, আমার ছেলে এই ব্যক্তির পরিবারে মজুর ছিল, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করে বসে। ফলে আমি একশ’ ছাগল ও একটি গোলামের বিনিময়ে তার থেকে আপোস করে নেই। তারপর ক’জন আলিমকে জিজ্ঞেস করি। তাঁরা আমাকে জানালেন যে, আমার ছেলের ওপর একশ’ কশাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। আর এ ব্যক্তির স্ত্রীর উপর রজম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী তোমাদের মাঝে ফায়সালা করব। একশ’ (ছাগল) আর গোলাম তোমার কাছে ফেরত হবে। আর তোমার ছেলের উপর আসবে একশ’ কশাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। হে উনাইস! তুমি প্রত্যূষে মহিলার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করবে। যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রজম করবে। সে স্বীকার করলে তাকে সে রজম করল। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪৬ হাদীস নং ৬৮৫৯; মুসলিম ২৯/৫, হাঃ ১৬৯৭, ১৬৯৮)

【5】

ইয়াহূদী বা অন্য জিম্মিকে যিনার অপরাধে রজম করা।

‘উমার (রাঃ) ইয়াহূদীরা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে এসে বলল, তাদের একজন পুরুষ ও একজন মহিলা ব্যভিচার করেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা সম্পর্কে তাওরাতে কী বিধান পেয়েছ? তারা বলল, আমরা এদেরকে অপমানিত করব এবং তাদের বেত্রাঘাত করা হবে। ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু সালাম (রাঃ) বললেন, তোমরা মিথ্যা বলছ। তাওরাতে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যার বিধান রয়েছে। তারা তাওরাত নিয়ে এসে বাহির করল এবং পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা সম্পর্কীয় আয়াতের উপর হাত রেখে তার আগের ও পরের আয়াতগুলো পাঠ করল। ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু সালাম (রাঃ) বললেন, তোমার হাত সরাও। সে হাত সরাল। তখন দেখা গেল পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আয়াত আছে। তখন ইয়াহূদীরা বলল, হে মুহাম্মাদ! তিনি সত্যই বলছেন। তাওরাতে পাথর নিক্ষেপে হত্যার আয়াতই আছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথর নিক্ষেপে দু’জনকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। ‘আবদুল্লাহ বলেন, আমি ঐ পুরষটিকে মেয়েটির দিকে ঝুঁকে পড়তে দেখেছি। সে মেয়েটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। (বুখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২৬ হাদীস নং ৩৬৩৫; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৬৯৯) শায়বানী (রহ.) তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু আবূ আওফা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রজম করেছেন কি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, সূরায়ে নূর-এর আগে না পরে? তিনি বললেন, আমি অবগত নই। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২১ হাদীস নং ৬৮১৩; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৭০২) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যদি বাঁদী ব্যভিচার করে এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হয়, তবে তাকে বেত্রাঘাত করবে। আর তিরস্কার করবে না। তারপর যদি আবার ব্যভিচার করে তবে তাকে বিক্রি করে দিবে; যদিও পশমের রশির (ন্যায় সামান্য বস্তুর) বিনিময়েও হয়। (বুখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৬৬ হাদীস নং ২১৫২; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৭০৩) যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবিবাহিতা দাসী যদি ব্যভিচার করে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, যদি সে ব্যভিচার করে, তবে তাকে বেত্রাঘাত কর। আবার যদি সে ব্যভিচার করে আবার বেত্রাঘাত কর। এরপর যদি ব্যভিচার করে তবে তাকে রশির বিনিময়ে হলেও বিক্রি করে দাও। (বুখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৬৬ হাদীস নং ২১৫৩-২১৫৪; মুসলিম ২৯ হুদুদ অধ্যায়ের প্রথমে, হাঃ ১৭০৪)

【6】

মদখোরের শাস্তি।

আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শরাব পান করার ক্ষেত্রে বেত্রাঘাত করেছেন এবং জুতা মেরেছেন। আবূ বকর (রাঃ) চল্লিশটি করে বেত্রাঘাত করেছেন। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৬৭৭৬; মুসলিম ২৯/৮, হাঃ ১৭০৬) আলী ইব্‌নু আবূ ত্বলিব (রাঃ) তিনি বলেন, আমি যদি কোন অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করি আর সে তাতে মরে যায় তবে কোন দুঃখ আসে না। কিন্তু শরাব পানকারী ব্যতীত। সে যদি মারা যায় তবে তার জন্য আমি দিয়াত দিয়ে থাকি। কেননা, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ শাস্তির ব্যাপারে কোন সীমা নির্ধারণ করেননি। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৬৭৭৮; মুসলিম ২৯/৮, হাঃ ১৭০৭)

【7】

সতর্ক করে দেয়ার জন্য বেত্রাঘাতের পরিমাণ।

আবূ বুরদাহ (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ আল্লাহ্‌র নির্ধারিত হদসমূহের কোন হদ ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রে দশ কশাঘাতের ঊর্ধ্বে দণ্ড প্রয়োগ করা যাবে না। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪২ হাদীস নং ৬৮৪৮; মুসলিম ২৯/৯, হাঃ ১৭০৮)

【8】

হাদ জারি করাই হচ্ছে অপরাধীর জন্য কাফ্‌ফারাহ।

উবাদাহ ইব্‌নুস সামিত (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশে একজন সাহাবীর উপস্থিতিতে তিনি বলেনঃ তোমরা আমার নিকট এ মর্মে বায়‘আত গ্রহণ কর যে, আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন কিছুকে অংশীদার সাব্যস্ত করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করবে না এবং সৎকাজে নাফরমানী করবে না। তোমাদের মধ্যে যে তা পূর্ণ করবে, তার পুরস্কার আল্লাহ্‌র নিকট রয়েছে। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হলো এবং দুনিয়াতে তার শাস্তি পেয়ে গেলে, তবে তা হবে তার জন্য কাফ্‌ফারা। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হয়ে পড়লে এবং আল্লাহ তা অপ্রকাশিত রাখলে, তবে তা আল্লাহ্‌র ইচ্ছাধীন। তিনি যদি চান, তাকে মার্জনা করবেন আর যদি চান, তাকে শাস্তি প্রদান করবেন। আমরা এর উপর বায়‘আত গ্রহণ করলাম। (বুখারী পর্ব ২ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ১৮; মুসলিম ২৯/১০ হাঃ ১৭০৯)

【9】

চতুষ্পদ জন্তুর আঘাতে, খণিজ সম্পদ উদ্ধার করতে ও কূপ খনন করতে মারা গেলে রক্তপণ নেই।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চতুষ্পদ জন্তুর আঘাত দায়মুক্ত, কূপ (খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক) দায়মুক্ত, খণি (খননে কেউ মারা গেলে মালিক) দায়মুক্ত। রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। (বুখারী পর্ব ২৪ অধ্যায় ৬৬ হাদীস নং ১৪৯৯; মুসলিম ২৯/১১, হাঃ ১৭১০)