1. ঘুমের সুন্নত
ওজু অবস্থায় শোয়া
বারা ইবনে আ’যেব (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারা ইবনে আ’যেব (রাঃ)-কে বলেন, “যখন তুমি তোমার শয্যা গ্রহনের ইচ্ছা করবে, তখন নামাযের ন্যায় ওজু করে ডান কাত হয়ে শয়ন করবে।’’ (বুখারী ৬৩১১, মুসলিম ৬৮৮২)
ঘুমের পূর্বে সূরা ইখলাস নাস ও ফালাক পড়া
আয়েশা (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাত্রে শয্যা গ্রহনের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর হাতদ্বয় দ্বারা শরীরের যতদূর পর্যন্ত বুলানো সম্ভব হতো, ততদূর পর্যন্ত বুলিয়ে নিতেন। স্বীয় মাথা, চেহারা এবং শরীরের সামনের দিক থেকে আরম্ভ করতেন। এইভাবে তিনি তিনবার করতেন।’’ (বুখারী ৫০১৭)
শোয়ার সময় তাকবীর ও তাসবীহ পাঠ করা
আলী (রাঃ) তিনি বলেন, ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে একটি চাকর চাইলে, তিনি বললেন, “আমি কি তোমাদের দু’জনকে এমন জিনিস বলে দেবো না, যা তোমাদের চাকরের চেয়ে উত্তম? তোমরা যখন বিছানায় শুতে যাবে, তখন ৩৪ বার আল্লাহু আকবর, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ এবং ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ পড়বে। এটা তোমাদের চাকরের চেয়েও উত্তম।” (বুখারী ৬৩১৮, মুসলিম ৬৯১৫)
রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তার দু’আ
উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রে নিদ্রা ভঙ্গ হলে বলে, (লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া সুবহানাল্লা-হ আল্লাহু আকবার ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।) অর্থাৎ, আল্লাহ্ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি এক ও একক। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব ও সমস্ত প্রশংসা তাঁরই। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। আল্লাহ্রই সমস্ত প্রশংসা। তিনি পূত-পবিত্র ও মহান। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কারো ভাল কাজ করার ও মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকার শক্তি নেই। তারপর সে যদি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, “হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দাও, অথবা অন্য দুয়া করে, তাহলে তার দু’আ কবুল হয়।” (বুখারী ১১৫৪)
নিদ্রা থেকে জাগ্রত হলে এ ব্যাপারে প্রমানিত দু’আটি পড়াঃ
বর্ণনাকারী “আলহামদুলিল্লা হিল্লাযী আহইয়ানা বা’দামা-আমাতানা ওয়া ইলাই-হিন্নুশূর” অর্থাৎ, সেই আল্লাহ্র সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাকে মৃত্যুর পর আবার জীবিত করলেন। আর তাঁরই নিকটে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (হাদীসটি ইমাম বুখারী হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।