3. রোযার সুন্নত
সাহরী খাওয়া
আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহারীর মধ্যে বরকত রয়েছে।” (বুখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫)
সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে দ্রুত ইফতারী করা
সাহ্ল ইবনে সাআ’দ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “লোকেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে, ততদিন কল্যাণের মধ্যে অবস্থান করবে।” (বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮)
রমযান মাসে তারাবীর নামায পড়া
আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও নেকীর আশায় রমযানের কিয়াম করে (তারাবীর নামায পড়ে), তার পূর্বেকার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (বুখারী ৩৭, মুসলিম ৭৫৬)
রমযান মাসে ই’তিক্বাফ করা, বিশেষ করে এই মাসের শেষ দশকে
ইবনে উমার (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “রমযানের শেষ দশ দিন ই’তিক্বাফ করতেন।” (বুখারী ২০২৫)
শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা
আবূ আইয়ূব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর এর পরপরই শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখলো, সে যেন পূর্ণ এক বছরের রোযা রাখলো।” (মুসলিম ১১৬৪)
প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা রাখা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, আমার বন্ধু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিনটি বিষয়ের অসিয়ত করেছেন। যতদিন জীবিত থাকবো আমি সেগুলো কখনোও ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে, প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখা, চাশ্তের নামায পড়া এবং বিতর পড়ে ঘুমানো।’ (বুখারী ১১৭৮, মুসলিম ৭২১)
আরাফার দিন রোযা রাখা
আবূ ক্বাতাদাহহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আরাফার দিনের রোযা রাখলে আল্লাহ্র নিকট আশা রাখি যে তিনি বিগত এক বছরের ও আগামী এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন।” (মুসলিম ১১৬২)
মুহার্রাম মাসের রোযা রাখা
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মুহার্রাম মাসের রোযা রাখলে আল্লাহ্র নিকট আশা করি যে তিনি বিগত এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন।” (মুসলিম ১১৬২)