7. বিভিন্ন প্রকার সুন্নতসমূহ
জ্ঞানার্জন করা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোন পথে চলে, আল্লাহ্র তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।” (মুসলিম ২৬৯৯)
প্রবেশ করার পূর্বে তিনবার অনুমতি চাওয়া
আবূ মুসা আশা’আরী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তিনবার অনুমতি চাইবে। অনুমতি দিলে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।” (বুখারী ৬২৪৫, মুসলিম ২১৫৩)
খেজুর ইত্যাদি চিবিয়ে নবজাত শিশুর মুখে দেওয়া
আবূ মুসা আশা’আরী (রাঃ) তিনি বলেন, আমার এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করলো। আমি তাকে নিয়ে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি তার নাম রাখলেন, ইবরাহীম এবং খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিয়ে তার জন্য বরকতের দুআ করলেন। (বুখারী ৫৪৬৭, মুসলিম ২১৪৫)
আক্বীক্বা করা
আয়েশা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়ের পক্ষ থেকে একটি এবং ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ছাগল আক্বীক্বা করার। (আহমদ ২৫৭৬৪)
বৃষ্টির পানি লাগার জন্য শরীরের কোন অংশ খোলা
আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থাকাকালীন আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর শরীরের কিছু অংশ খুলে ফেললেন যাতে সেখানে বৃষ্টির পানি লাগে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্র রাসূলুল্লাহ! এ রকম কেন করলেন? তিনি বললেন, ‘কারণ ইহা (এই বৃষ্টির পানি) স্বীয় প্রতিপালকের নিকট থেকে সদ্য আগত।” (মুসলিম ৮৯৮)
রোগীকে দেখতে যাওয়া
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায়, সে জান্নাতের ফলমূলে অবস্থান করতে থাকে।” জিজ্ঞেস করা হলো, জান্নাতের ফলমূলে অবস্থান করা কি? তিনি বললেন, “এর ফলমূল সংগ্রহ করা।” (মুসলিম ২৫৬৮)
স্নিগ্ধ হাসা
আবূ যার (রাঃ) তিনি বলেন, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “কোন ভাল কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাৎ করার কাজ হয়।” (মুসলিম ২৬২৬)
আল্লাহ্র নিমিত্ত কারো যিয়ারত করা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এক ব্যক্তি তার ভাইকে দেখার জন্য অন্য এক গ্রামে গেলো। আল্লাহ্ তা’য়ালা তার জন্য রাস্তায় একজন ফেরেশতা মোতায়েন করলেন। সে ব্যক্তি যখন ফেরেশতার কাছে পৌঁছলো, তখন ফেরেশতা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ? সে বললো, আমি এই গ্রামে আমার এক ভাইকে দেখার জন্য যাচ্ছি। ফেরেশতা বললেন, তার উপর তোমার কি কোন অনুগ্রহ আছে, যা তুমি আরো বৃদ্ধি করতে চাও? সে বললো, না। আমি তো শুধু আল্লাহ্র জন্য তাকে ভালবাসি। ফেরেশতা বললেন, আমি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তোমার কাছে এ পয়গাম নিয়ে এসেছি যে, আল্লাহ্ তোমাকেও ভালবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাঁরই জন্য ভালবাসো।” (মুসলিম ২৫৬৭)
মানুষ তার ভাইকে জানিয়ে দেবে যে, সে তাকে ভালবাসে
মিক্বদাদ ইবনে মা’দী কারিবা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) বলেছেন, “যদি তোমাদের কেউ তার কোন ভাইকে ভালবাসে, তাহলে সে যেন তাকে তার ভালবাসার কথা জানিয়ে দেয়।” (আহমদ ১৬৩০৩) হাদিসের মান নির্ণীত নয়।
হাই তুলা রোধ করা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “হাই শয়তান কর্তৃক আসে। অতএব যখন তোমাদের কারো হাই আসে, তখন সে যেন সাধ্যানুসারে তা রোধ করে। কেননা, যখন তোমাদের কেউ হাই তুলে তখন শয়তান হাসে।” (বুখারী ৩২৮৯, মুসলিম ২৯৯৮)
মানুষের ব্যাপারে ভাল ধারণা পোষণ করা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা (মন্দ) ধারণা করা থেকে বিরত থাকো। কারণ, (মন্দ) ধারণাই হচ্ছে সব থেকে বড় মিথ্যা।” (বুখারী ৬০৬৬, মুসলিম ০২৬৩)
ঘরের কাজে পরিবারকে সাহায্য করা
আসওয়াদ তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাড়িতে কি করেন? উত্তরে তিনি বললেন, তিনি বাড়িতে তাঁর পরিবারের কাজে সহযোগিতা করেন। যখন নামাযের সময় এসে উপস্থিত হয়, তখন নামাযের জন্য বেরিয়ে যান। (বুখারী ৬৭৬)
স্বভাবগত অভ্যাস
আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “স্বভাবগত অভ্যাস হলো পাঁচটি অথবা পাঁচটি হলো স্বভাবগত অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত। খাতনা করা, নাভীর নীচের লোম পরিস্কার করা, বগলের চুল ছিঁড়ে ফেলা, নখ কাটা এবং মোচ খাটো করা।” (বুখারী ৫৮৮৯, মুসলিম ২৫৭)
এতিমদের দেখাশুনা করা
সাহল ইবনে সা’আদ সাহল ইবনে সা’আদ নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি ও এতীমদের দেখাশুনার দায়িত্ব গ্রহণকারী জান্নাতে এত দূর ব্যবধানে থাকবো। তারপর তিনি নিজের তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলী দিয়ে ইঙ্গিত করে দেখালেন।” (বুখারী ৬০০৫)
ক্রোধ থেকে বিরত থাকা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) এক ব্যক্তি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললো, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, “রাগ করো না।” সে কয়েকবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করলো। আর তিনি বললেন, “রাগ করো না।” (বুখারী ৬১১৬)
আল্লাহ্র ভয়ে কাঁদা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “সাত প্রকারের লোককে আল্লাহ্ তাঁর ছায়ায় আশ্রয় দেবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না, তাদের মধ্যে একজন হলো এমন ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহ্কে স্মরণ করে চোখের পানি প্রবাহিত করে।” (বুখারী ৬৬০ মুসলিম ১০৩১)
সাদক্বায়ে জারীয়া
আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “মানুষ যখন মারা যায়, তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমলের নেকী জারী থাকে। সাদক্বায়ে জারীয়া, ফলপ্রসূ ইল্ম এবং সুসন্তান যে তার জন্য দুআ করে।” (মুসলিম ১৬৩১)
মসজিদ তৈরী করা
উসমান ইবনে আফ্ফান (রাঃ) যখন তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মসজিদ পুনঃ নির্মাণ করেন, তখন লোকেরা তাঁর সমালোচনা করে। তিনি তাদের জবাবে বললেন, তোমরা অনেক কিছু বললে, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য একটি মসজিদ তৈরী করবে, আল্লাহ্ তাঁর জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর তৈরী করবেন।” (বুখারী ৪৫০, মুসলিম ৫৩৩)
কেনাবেচায় নরম ও সহজ পন্থা অবলম্বন করা
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “সেই ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ্ রহম করুন! যে বিক্রি করার সময়, কিনার সময় এবং স্বীয় অধিকার চাওয়ার সময় সহজ ও নরম পন্থা অবলম্বন করে।” (বুখারী ২০৭৬)
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়া
আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “এক ব্যক্তি পথ চলার সময় পথে একটি কাঁটার ডাল দেখতে পেলে তা রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলো। ফলে আল্লাহ্ তার প্রতি অনুগ্রহ করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।” (বুখারী ৬৫৪, মুসলিম ১৯১৪)
সাদক্বাহ করা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুরের মুল্য পরিমাণ দান করে– আল্লাহ্ তো হালাল বস্তু ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহন করেন না- তবে আল্লাহ্ তা তাঁর ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তাকে তার দানকারীর জন্য বৃদ্ধি করতে থাকেন যেরূপ তোমাদের কেউ তার অশ্বশাবককে লালন-পালন করতে থাকে। অবশেষে একদিন তা পাহাড় সমতুল্য হয়ে যায়।” (বুখারী ১০৮০, মুসলিম ১০১৮)
জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে নেক আমল বেশী বেশী করা
ইবনে আব্বাস (রাঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই (অর্থাৎ, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের) দিনগুলোতে যে আমল করা হয় তার চেয়ে উত্তম আর কোন আমল নেই। সাহাবাগন জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি উত্তম নয়? তিনি বললেন, “জিহাদও উত্তম নয়।” তবে সেই ব্যক্তির কথা স্বতন্ত্র, যে নিজের জান ও মাল ধ্বংসের মুখে জেনেও জিহাদের দিকে এগিয়ে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।” (বুখারী ৯৬৯)
টিকটিকি হত্যা করা
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতেই টিকটিকি মারতে সক্ষম হবে, তার নেকীর খাতায় একশত নেকী লিখে দেওয়া হবে। আর দ্বিতীয় আঘাতে মারলে, প্রথমের থেকে কম পাবে এবং তৃতীয় আঘাতে মারলে, তার চেয়েও কম পাবে।” (মুসলিম ২২৪০)
প্রত্যেক শোনা কথা বলে না বেড়ানো
হাফ্স ইবনে আ’সেম (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “কোন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে সব শোনা কথা বলে বেড়াবে।” (মুসলিম ৫)
নেকীর আশায় পরিবারবর্গের জন্য ব্যয় করা
আবূ মাসউদ বাদরী (রাঃ) আবূ মাসউদ বাদরী (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “মুসলিম নেকীর আশায় যা কিছু তার পরিবারবর্গের জন্য ব্যয় করে’ তা সবই তার জন্য সাদক্বায় পরিণত হয়।” (মুসলিম ২৩২২)
তাওয়াফে রামাল করা
ইবনে উমার (রাঃ) তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম তিন তাওয়াফে রামাল করতেন এবং অবশিষ্ট চার তাওয়াফে স্বাভাবিকভাবে চলতেন।” (বুখারী ১৬৪৪, মুসলিম ১২৬১)
অব্যাহতভাবে কোন নেক আমল করতে থাকা, যদিও তা স্বল্প হয়
আয়েশা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, আমলের, মধ্যে কোন আমলটি আল্লাহ্র নিকট অতীব প্রিয়? তিনি বললেন, “এমন আমল যা অব্যাহত করা হয়, যদিও তা স্বল্প হয়।” (বুখারী ৬৪৬৫, মুসলিম ৭৮৩) আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে, অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মু’মিনের আত্নার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে, আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি।’’ (বুখারী ৬৫০২)