22. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাম কাঁধে বালিশের উপর হেলান দিতেন
জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বাম কাধে (হেলান দেয়া অবস্থায়) দেখেছি। [৯৯]
হাদীস বর্ণনার সময়ও বালিশে হেলান দিতেন
আবু বাকরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে বলব না? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হ্যাঁ- হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করা ও পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, হাদীস বর্ণনার সময় তিনি বালিশে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, আর মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা অথবা মিথ্যা বলা (-ও কবীরা গুনাহ)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ কথা বারবার বলতে থাকেন। এমনকি আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম যে, আহ! যদি তিনি চুপ করতেন। [১০০] ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ তিনটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর তালিকা এ তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিভিন্ন হাদীসে আরো কতিপয় কাজকে 'কবীরা গুনাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- খাবারে শরীক হওয়ার ভয়ে বা ভরণ পোষণের ভয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করা, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা প্রভৃতি। কবীরা শুনাহের সংজ্ঞা : গুনাহ দু'প্রকার। ১. কবীরা, ২. সগীরা। শরীয়তে যে পাপ কাজের জন্য কোন শাস্তির বিধান রয়েছে, তা করা কবীরা বা বড় গুনাহ। কেউ কেউ বলেন, কুরআন হাদীসে যে গুনাহ সম্পর্কে কঠোর ধমকি দেয়া হয়েছে যদিও শাস্তির কথা বলা হয়নি, সেটি কবীরা।
তিনি কখনো ঠেস দেয়া অবস্থায় খেতেন না
আবু জুহায়ফা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে আহার করি না। [১০১] ব্যাখ্যা : ‘আমি হেলান দিয়ে আহার করি না’ এ উক্তিটি রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ জন্য বলেছেন, মানুষ যেন তার অনুসরণ করে। জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) তিনি বলেন, আমি নবী (সঃ)জ-কে বালিশের উপর হেলান দেয়া অবস্থায় দেখেছি. [১০২] ব্যাখ্যাঃ - এ হাদীস থেকে বুঝা যায়, আহার ছাড়া অন্য সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) হেলান দিয়ে বসতেন।