24. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পানাহারের নিয়ম পদ্ধতি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহার শেষে তিন আঙ্গুলি চুষে নিতেন
আনাস (রাঃ) নবী (সঃ) যখন আহার করতেন তখন তিনি তাঁর তিনটি আঙ্গুলি চুষে নিতেন। [১০৪] আবু জুহায়ফা তিনি বলেন, নবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, আমি ঠেসরত অবস্থায় আহার করি না। [১০৫]
তিনি তিন আঙ্গুলি দিয়ে আহার করতেন
কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তিন অঙ্গুলি দিয়ে আহার করতেন এবং তা চুষে নিতেন। [১০৬] ব্যাখ্যাঃ সাধারণত আহারের সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) তিনটি আঙ্গুল ব্যবহার করতেন এবং খাওয়ার পর সেগুলো চেটে খেতেন। আঙ্গুল তিনটি হলো বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যম। কাব ইবনে উজরা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা এ আঙ্গুলত্রয় দ্বারা পানাহার করতে দেখেছি। আরো দেখেছি যে, তিনি হাত ধৌত করার আগে তিন আঙ্গুল চেটে খেয়েছেন। প্রথমে মধ্যমা অতঃপর তর্জনী অতঃপর বৃদ্ধাঙ্গুল চেটেছেন। উল্লেখ্য যে, নবী (সঃ) এর সময় খেজুর, রুটি, গোশত অথবা তরকারীই ছিল প্রধান খাদ্য। এসব খাদ্য গ্রহণের সময় সব আঙ্গুল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। বিধায় নবী (সঃ) তিন আঙ্গুল দ্বারা খেতেন। কিন্তু ভাত খাওয়ার সময় পাঁচ আঙ্গুলই ব্যবহার করতে হয়। বিধায় সৰ আঙ্গুলই চেটে খাওয়া উচিত। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ আহার কর, তখন যেন আহার শেষে আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কারণ সে জানে না খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে। [১০৭]
অতি ক্ষুধার কারণ তিনি একবার বাঁকা হয়ে ঠেস দিয়ে খেয়েছিলেন
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে খুরমা আনা হলো। তখন আমি তাকে তীব্র ক্ষুধার কারণে বাঁকা হয়ে ঠেস দিয়ে খেতে দেখেছি। [১০৮] ব্যাখ্যাঃ সাধারণত রাসূলুল্লাহ (সঃ) কোন জিনিসের সাথে ঠেস দিয়ে বসে আহার করতেন না। এখানে সমস্যার কারণে হেলান দিয়েছিলেন।