3. আত্মসাৎ

【1】

আত্মসাৎ

আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়সাল্লাম) এরশাদ করেন, (১) কোন যেনাকার যেনা করতে পারে না যখন সে যেনা করে, মুমিন থাকা অবস্থায়। (২) কোন মদখোর মদপান করতে পারে না যখন সে মদ্যপান করে, মুমিন থাকা অবস্থায়। (৩) কোন চোর চুরি করতে পারে না যখন সে চুরি করে, মুমিন থাকা অবস্থায়। (৪) কোন ডাকাত এরূপে ডাকাতি বা ছিনতাই করতে পারে না যে লোক তার প্রতি নযর উঠিয়ে দেখে (অর্থাৎ প্রকাশ্যে) যখন সে ডাকাতি করে, মুমিন থাকা অবস্থায়। (৫) তোমাদের কেউ গণীমতের মালে (বা কোন মালে) খেয়ানত করতে পারে না যখন সে খেয়ানত করে, মুমিন থাকা অবস্থায়। অতএব তোমরা সাবধান হও? তোমরা সাবধান হও’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩)। অত্র হাদীছ দ্বারা বুঝা যায় যে, মানুষ যখন খিয়ানত করে তখন মুমিন থাকে না। মুমিন হওয়ার জন্য তওবা করতে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘মুনাফিকের আলামত হচ্ছে তিনটা- যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোন কিছু আমানত রাখা হয়, তা সে খিয়ানত করে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫)। আনাস (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে এরূপ উপদেশ খুব কমই দিয়েছেন, যাতে একথাগুলি বলেননি যে, ‘যার আমানতদারী নেই তার ঈমান নেই এবং যার অঙ্গীকারের মূল্য নেই তার দ্বীন-ধর্ম নেই’ (আহমাদ হা/১১৯৩৫, মিশকাত হা/৩৫, বাংলা মিশকাত হা/৩১)। অত্র হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আমানত রক্ষা করা এবং অঙ্গীকার পূরণ করা পূর্ণ মুমিন হওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার কাছে আমানত রেখেছে তাকে সময় মত আমানত বুঝিয়ে দাও। আর যে তোমার সাথে খিয়ানত করে তার খিয়ানত করো না‘ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, দারেমী, মিশকাত হা/২৯৩৪)। সাঈদ ইবনু যায়েদ (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত যমীন দখল করেছে, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন অনুরূপ সাতটি যমীন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৩৮)। তাবেঈ সালেম তাঁর বাপ আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর হতে তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে অনধিকারে কারো কিছু যমীন নিয়েছে, ক্বিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক যমীন পর্যন্ত ধসিয়ে দেওয়া হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৯৫৮)। ইয়া’লা ইবনু মুররা (রাঃ) আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, ‘যেকোন ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিগত জমি দখল করে তাকে আল্লাহ তা সাত তবকের শেষ পর্যন্ত খুঁড়তে বাধ্য করবেন। অতঃপর তার গলায় তা শিকলরূপে পরিয়ে দেওয়া হবে, যাবৎ না মানুষের বিচার শেষ করা হয়’ (আহমাদ, মিশকাত হা/২৯৬০)। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হল, মানুষের মধ্যে উত্তম কে? তিনি বললেন, ‘প্রত্যেক নিষ্কলুষ অন্তঃকরণ সত্যভাষী’। সাহাবাগণ আরয করলেন, ‘সুদূকুল লিসান’ তো আমরা বুঝি, তবে ‘মাখ্মূমুল কালব’ কি? তিনি বললেন, ‘নির্মল ও পবিত্র অন্তঃকরণ, যা পাপ করেনি, যুলুম করেনি, যা খিয়ানত করেনি ও যা হিংসা-বিদ্বেষ হতে মুক্ত’ (ইবনু মাজাহ, বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমান, মিশকাত হা/৫২২১)। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন তোমার মধ্যে চারটি বস্তু বিদ্যমান থাকে, তখন দুনিয়ার যা কিছুই তোমার থেকে চলে যায় তাতে তোমার কোন ক্ষতি নেই। আমানত রক্ষা করা, সত্য কথা বলা, উত্তম চরিত্র হওয়া এবং খানা-পিনাতে সতর্কতা অবলম্বন করা’ (আহমাদ, শু’আবুল ঈমান, মিশকাত হা/৫২২২)। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) যখনই গনীমতের মাল লাভ করতেন, তখন বেলাল (রাঃ)-কে আদেশ করতেন। (তিনি যেন লোকদের যার কাছে যাকিছু আছে তা উপস্থিত করার জন্য ঘোষণা করেন)। তিনি জনগণের মধ্যে ঘোষণা করতেন, তখন লোকেরা তাদের স্ব স্ব গনীমত নিয়ে আসত। অতঃপর সমস্ত মাল হতে (বায়তুল মালের) এক-পঞ্চমাংশ বের করতেন এবং অবশিষ্টগুলি লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দিতেন। একদা এক ব্যক্তি এর (খুমুস বের করা এবং সমস্ত মাল বিতরণ করে দেওয়ার) পর একখানা পশমের লাগাম নিয়ে আসল এবং বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ইহা গনীমতের মাল, যা আমি পেয়েছিলাম। তার কথা শুনে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, বেলাল যে তিন তিনবার ঘোষণা করেছিল, তুমি কি তা শুনেছ? সে বলল, হ্যাঁ, (শুনেছি)। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সেই সময় তা আনতে তোমাকে কে বাধা দিয়েছিল? তখন সে বিভিন্ন ওযর পেশ করল। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও, তুমি ক্বিয়ামতের দিন এই রশি নিয়েই উপস্থিত হবে। আমি তোমার নিকট হতে এটা গ্রহণ করব না’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪০১২)। খাওলাহ বিনতে কায়স (রাঃ) তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই পার্থিব সম্পদ শ্যামল ও সুমিষ্ট (অর্থাৎ আকর্ষণীয়) তবে যেই ব্যক্তি ন্যায়ভাবে প্রাপ্ত হয় তাতে তার বরকত হয়। আবার বহু লোক এমনও আছে, যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সম্পদে (অর্থাৎ গনীমতের মালে) যথেচ্ছা তসরূপ করে, তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন ব্যতীত আর কিছুই না’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪০১৭)। আবু হুরায়রা (রাঃ) একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মাঝে বক্তব্য দেয়ার জন্য দাঁড়ালেন, তিনি খিয়ানত সম্পর্ককে বক্তব্য দিলেন এবং খিয়ানতের বিষয়টি খুব বড় করে পেশ করলেন। তারপর তিনি বললেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন তোমাদের কাউকে আমি এমন অবস্থায় পাব যে, তার কাঁধের উপর উট চিৎকার করতে থাকবে। সে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে রক্ষা করুন। আমি বলব, আজ আল্লাহর সামনে তোমার জন্য সামান্য কিছু করার ক্ষমতা আমি রাখি না, যা পূর্বেই বলেছি। ক্বিয়ামতের দিন আমি তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় পাব যে, তার কাঁধের উপর ঘোড়া চিৎকার করতে থাকবে। সে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে রক্ষা করুন, আমি বলব, আজ আল্লাহর সামনে তোমার জন্য সামান্য কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই, যা আমি পূর্বেই বলেছি। ক্বিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এই অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে কাঁধের উপর একটি ছাগল বহন করছে এবং আমাকে বলবে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলব, আমি কিছুই করতে পারব না। আমিতো তোমাকে আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি। কিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে নিজের কাঁধের উপর চিৎকার রত একটি মানুষ বহন করে নিয়ে আসবে আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলব, আজ আমি তোমার জন্য কিছুই করতে পারব না। আমি আল্লাহর বিধান তোমাকে পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি। ক্বিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকে এ অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে নিজের কাঁধের উপর কাপড় ইত্যাদির এক খণ্ড বহন করে নিয়ে আসছে। আর তা ভীষণভাবে তার কাঁধের উপর দুলছে, তখন সে আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন, আর আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছুই করতে পারব না। কিয়ামতে আমি যেন তোমাদের কাউকে এমন অবস্থায় না দেখতে পাই যে, সে নিজের কাঁধের উপর অচেতন সম্পদ (সোনা-চাঁদি) বহন করে নিয়ে আসছে। আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আর আমি বলব, আজ আমি তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারব না। আমি তো তোমাকে আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৯৯৬)। আবু হুরায়রা (রাঃ) মিদআম নামে একটি গোলাম রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে হাদিয়া দিয়েছিল। মিদআম এক সময় রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উটের পিঠের হাওদা নামাচ্ছিল এমতাবস্থায় একটি তীর এসে তাকে লাগে এবং সে মারা যায়। ছাহাবীগণ বলেন, তার জন্য জান্নাত। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কখনই নয়। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই ঐ চাদরটি যেটি সে খায়বারের গনীমত বণ্টন করার পূর্বে আত্মসাৎ করেছিল সে চাদরটি জাহান্নামের আগুন তার উপর উত্তেজিত করছে। এ কথা শুনে একজন লোক একটি জুতার ফিতা বা দু’টি জুতার ফিতা রসূলের নিকট নিয়ে আসল। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, একটি বা দু’টি জুতার ফিতা আত্মসাৎ করলেও জাহান্নামে যাবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৯৯৭; বাংলা ৮ম খণ্ড, হা ৩৮২১)। অত্র হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আত্মসাৎকৃত বস্তু ক্ষুদ্র হলেও তার পরিণাম জাহান্নাম। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর গনীমতের মালের এক ব্যক্তি দায়িত্বশীল ছিল, যে কারকারা নামে পরিচিত। সে মারা গেলে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জাহান্নামী বলে ঘোষণা করেন। ছাহাবীগণ তার নিকট গিয়ে দেখলেন সে একটি চাদর আত্মসাৎ করেছিল (ইবনু মাজাহ, হা/২৮৪১, হাদীছ ছহীহ, বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৯৮; বাংলা ৮ম খণ্ড, হা/৩৮২২)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) ওমর (রাঃ) আমাকে বললেন, ‘খায়বারের যুদ্ধের দিন ছাহাবীগণের একটি দল বাড়ী ফিরে আসছিলেন। ঐ সময় ছাহাবীগণ বললেন, অমুক অমুক শহীদ, শেষ পর্যন্ত এমন এক ব্যক্তিকে ছাহাবীগণ শহীদ বললেন, যার ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কখনো নয়, আমি তাকে জাহান্নামে দেখছি সে একটি চাদর আত্মসাৎ করেছে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪০৩৪; বাংলা ৮ম খণ্ড, হা/৩৮৫৭)। খাওলা আনছারী (রাঃ) আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ দখল করবে। ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম রয়েছে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৯৫; বাংলা মিশকাত ৮ম খণ্ড, হা/৩৮১৯ ‘জিহাদ’ অধ্যায়)। আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া গ্রহণ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ রাসূলগণকে যা আদেশ করেছেন মুমিনদেরও তাই আদেশ করেছেন। তারপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি লোকের আলোচনা করলেন, যে ব্যক্তি সফরে থাকায় ধুলায় মলিন হয়। আকাশের দিকে দু’হাত উত্তোলন করে প্রার্থনা করছে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! কিন্তু তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোষাক হারাম, তার জীবিকা নির্বাহ হারাম, কিভাবে তার দো’আ কবুল হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০, বাংলা মিশকাত ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা/২৬৪০, ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)। অত্র হাদীছে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে খাদ্য পানি পোষাক হারাম থাকলে ইবাদত কবুল হবে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘মানুষের উপর এমন একটি সময় আসবে, যখন মানুষ হালাল-হারাম উপার্জনে বিবেচনা করবে না’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৭৬১)। কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘হারাম খাদ্য দ্বারা পরিপুষ্ট শরীর জান্নাতে যাবে না’ (মিশকাত/২৭৮৭ ; বাংলা ৬ষ্ঠ খণ্ড, হাঃ/২৬৬৭)। নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘হালালও স্পষ্ট হারামও স্পষ্ট। উভয়ের মধ্যে কিছু অস্পষ্ট রয়েছে, যা অনেক মানুষ জানে না। যে ব্যক্তি অস্পষ্ট থেকে বেঁচে থাকবে সে তার দ্বীন ও তার মর্যাদাকে পূর্ণ করে নিবে। আর যে ব্যক্তি অস্পষ্ট গ্রহণ করবে সে হারামকে গ্রহণ করবে। যেমন একটি রাখাল ক্ষেতের সীমানায় ছাগল চরালে শস্য খেতে যেতে পারে। মনে রেখো, প্রত্যেক বাদশার একটি সীমা রয়েছে আর আল্লাহর সীমানা হচ্ছে তাঁর হারাম। নিশ্চয়ই শরীরে একটি টুকরা আছে, টুকরাটি ঠিক থাকলে সম্পূর্ণ শরীর ঠিক থাকবে, টুকরাটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ শরীর নষ্ট হয়ে যাবে। আর তা হচ্ছে অন্তর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।